চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ডাকাতিসহ অপরাধ দমনে রমজানের প্রথম দিন থেকেই বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ বাহুনী। এছাড়া নগরবাসী যেন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে আয়োজিত মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে মাধ্যমে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।কনফারেন্সে সদর দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ডিএমপির ৮টি বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ৪৯টি থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসেই সদর দফতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মাসিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা মাসের রাজধানীর অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা হয়। এমনকি কৃতিত্বের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃতও করা হয়। তবে রোববারের কনফারেন্স ছিল একটু ভিন্ন ধরনের। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনার পর পরই উঠে আসে রমজানের নিরাপত্তার বিষয়।রমজানে কমিশনারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ও ওসিদের নির্দেশ কঠোর নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত কমিশনারসহ সদর দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।রমজানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ যেসব অপরাধ বৃদ্ধি পায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। রমজানের প্রথম দিন সোমবার থেকেই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যার ফলে রমজানের প্রথম দিনেই দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশি চেক পোস্ট। প্রতিটি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকার বিপনি বিতানসহ বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।এছাড়াও রমজানে যানজট এড়াতে ট্রাফিক বিভাগকেও সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে। ফুটপাত দখল করে যেন দোকানপাট না বসে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করতে বলা হয়।
Advertisement