খেলাধুলা

ডিএসএ-ডিএফএর সমন্বয় থাকতে হবে

জন্ম থেকেই জ্বলছে জেলা ও ভিাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। ফিফার প্রেসক্রিপশনে ২০০৮ সালে জেলাভিত্তিক এ সংস্থা সৃষ্টি করেছে বাফুফে। তাতে ফুটবল উন্নয়নের চেয়ে জেলা বিভাগীয় ফুটবল সংগঠকদের মধ্যে দূরত্বই বেড়েছে। সাংঘর্ষিক অবস্থার তৈরী হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে ফিফা প্রতিনিধি দল এবং কয়েকটি জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের আলোচনায় এ বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের আশিকুর রহমান মিকু, নিলফামারীর আরিফ হোসেন মুন, রাজশাহীর রাফিউস সামস প্যাডী, চাপাইনবাবগঞ্জের তৌফিকুল ইসলাম তোফা, বাগেরহাটের সরদার সেলিম আহমেদ ও খুলনার ইউসুফ আলী। সভা শেষে নড়াই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশিকুর রহমান মিকু জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা ফিফা প্রতিনিধিদের সামনে ডিএফএর সমস্যা ও সম্ভাবনার বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, ডিএফএগুলো সরকারী সহযোগিতা পাচ্ছে না। পৃষ্ঠপোষকতারও অভাব। যে কারণে জেলার ফুটবল মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই ঢাকার বাইরে থেকে ফুটবলারও উঠে আসছে না। জাতীয় দলের পারফরম্যান খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। আমরা বলেছি, ডিএফএকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। ডিএফএকে ডিএসএর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিতে হবে। তা নাহলে ডিএফএ কোনোভাবেই ফুটবল উন্নয়নে কাজে আসবে না।’আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, ‘ডিএসএ দেশের প্রাচীন ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। যেখানে জেলা ও বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আছেন। এখন ডিএফএকে আলাদা করে দেয়া হয়েছে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি ডিএফএ গঠনে ফুটবলের কোনো লাভ হয়নি। এক কথায় লাভের পরিমান শূন্য।’ফিফা প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইক ফিস্টার ডিএসএ ও ডিএফএর মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুই সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলের উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে রাজধানীর বাইরে থেকে ফুটবলার তৈরী হবে না। জার্মানি যে দলটি নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে সে দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের।’আরআই/আইএইচএস/এমএস

Advertisement