বাজারে মোটা চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে কেজি প্রতি ৪ টাকা। গত সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকায়। এখন তা ৩৮ টাকায় নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষক। মাঠ পর্যায়ে প্রায় ১০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নতুন চাল বাজারে পাওয়া যাবে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও ১০ টাকা কেজি দরের চাল বাজারে ছাড়া হয়েছে। এ নিয়ে নানা অনিয়মের কথা উঠলেও বাজারে তার কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ঠিকই পড়েছে। এর ফলে বাজারে মোটা চালের দাম কমতে শুরু করেছে। আমন মৌসুম আসলে দাম আরও কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা। এর আগে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য সচিব এম এম বদরুদ্দোজা বলেন, দেশে চালের কোন সংকট নেই। মিলার ও ব্যবসায়ীরা সংকটের দোহাই দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। তবে আমরাও বসে নেই। আশা করি দ্রুত কমে আসবে চালের দাম। রাজধানীর চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক বছরের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ দামে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে। মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়।রমজান মাসের পর থেকেই দফায় দফায় দাম বাড়ছে। এতে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। দুই মাস আগে প্রতি কেজি গুটি ও স্বর্ণা জাতের মোটা চালের দাম ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা।শুধু মোটা চাল নয়, নাজিরশাইল ও মিনিকেটের মতো সরু ও মাঝারি মানের চালের দামও বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। প্রতি কেজি মাঝারি মানের পারিজা, বিআর-২৮ ও লতা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা এবং সরু চাল মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা ও নাজিরশাইল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরু চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ দেখছেন না সাধারণ ব্যবসায়ীরা। অনেক খুচরা ব্যবসায়ীর অভিযোগ, চালের দাম বাড়ার জন্য দায়ী বড় চালকল মালিকরা। তারাই সংকট তৈরি করেছেন।এ বিষয়ে শেরপুরের রাইস মিলার ফারুক হোসেন বলেন, পাইকারী বাজারে ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা নতুন ধান মাঠে (চাতাল) ফেলছি। আশা করছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নতুন চাল বাজারে পাওয়া যাবে। এমএ/ওআর/এমএস
Advertisement