দেশজুড়ে

শেরপুরে পাঁচ দিনব্যাপী গাজীর ওরশ-মেলা

শেরপুরের ঐতিহাসিক মুসলিম সাধক শের আলী গাজী। শেরপুরের নামকরণও হয়েছে এই শের আলী গাজীর নামেই। সদর উপজেলার গাজীর খামার ইউনিয়নের গৃদ্দাপাড়া গ্রামে শের আলী গাজীর কবরকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে ‘গাজীর মাজার’।বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী গাজীর মাজারে প্রতিবছর ৫ দিন ব্যাপী ওরস অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়ভাবে আয়োজিত গাজীর মাজার প্রাঙ্গনে বার্ষিক ওরশ ১৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গনে বসে জমজমাট গ্রামীণ মেলা। ওরশ ও মেলায় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার পাগলপন্থী, ভক্ত-আশেকানসহ মানত কারী জনসাধারণ ভিড় করে। মেলায় নাগরদোলা, শিশুদের নানা খেলাধুলা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, খেলনা সামগ্রী এবং বিভিন্ন দেশীয় খাবারের দোকানের পসড়া বসে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এবারের গাজীর ওরস-মেলা শুরু হয়েছিলো বলে আয়োজকরা জানান।গাজীর খামার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খলিলুের রহমান খলিল জানান, প্রায় পাঁচশ’ বছর পূর্বে ভাওয়াল গাজীর বংশধর শের আলী গাজী তৎকালীন শেরপুর পরগনায় এসে জায়গীরদারী গ্রহণ করেন। ন্যায়পরায়ন এই জায়গীরদার পরবর্তীতে প্রজাদের সুখ-দু:খে একাত্ম হয়ে একপর্যায়ে জায়গীরদারী ছেড়ে দিয়ে ইসলাম প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি মারা গেলে শেরপুরের গাজীর খামারে তাকে সমাহিত করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তার ওরশ পালন করে আসছে স্থানীয়রা।এমএএস/আরআই

Advertisement