আর কয়েক ঘণ্টা পরেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই ম্যাচ দেশের ক্রিকেটপ্রেমী জনগণ যেমন আশাবাদী ঠিক তেমনি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ঠিক উল্টো কথা বলছেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।মোহাম্মদ নবী বলেন, টুর্নামেন্টে অভিষেক ঘটাতে যাওয়া তার দলটি এশীয় প্রতিপক্ষ দলটির (বাংলাদেশ) চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।গত বছর এই বাংলাদেশকেই তাদের মাঠে হারানোর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আফগান অধিনায়ক আরো বলেন, সবার দৃষ্টি আগামীকাল (বুধবার) মানুকা ওভালে অনুষ্ঠেয় ‘এ’গ্রুপের ম্যাচের দিকেই নিবন্ধ থাকবে। গত বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তান টেস্ট প্লেয়িং দল বাংলাদেশকে ৩২ রানে পরাজিত করেছিল।নবী বলেন, আমি নিশ্চিত আগামীকালের (বুধবার) ম্যাচে বেশি চাপে থাকবে বাংলাদেশ। কারণ তারা জানে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা তাদেরকে হারিয়েছি তাদেরই নিজস্ব কন্ডিশনে। আশা করি ফের আমরা তাদের হারাতে পারব। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন আমাদের জন্য বেশ উপযোগী। কারণ আমাদের রয়েছে মান সম্পন্ন ফাস্ট বোলার। আর এখানকার চমৎকার কন্ডিশনে আমার দলের ব্যাটসম্যানরা বেশ সাবলিল ভাবে খেলতে পারবে।২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আরো বলেন, যে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার জন্য তার দলের ছেলেরা মুখিয়ে রয়েছে। যদিও তার দলের অনেক খেলোয়াড়েরই তিনবার টি২০ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।তিনি বলেন, এটি আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। আর এই টুর্নামেন্টে খেলার আগে প্রত্যেকে রোমাঞ্চিত এবং উদ্বেলিত। আশা করি প্রতিটি ম্যাচই আমরা উপভোগ করব। এখন আমার দলের খেলোয়াড়দের যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করা। সেই সঙ্গে নিজেদের ওপর বেশি চাপ না নেয়া। এতে করে তারা সামর্থ্যরে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটাতে পারবে। আমরা নিজেরা একটি গেম পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা যদি এটির সঠিক বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি তাহলে বিশ্বের যে কোন দলকেই আমরা হারাতে পারব।ইংলিশ কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের সাবেক ওপেনার এন্ডি মলেস বর্তমানে আফগানিস্তান দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের মত বড় আসরে অংশগ্রহণ করতে পারাটা যে কোন দলের জন্যই রোমাঞ্চকর। বিশেষ করে আফগানিস্তানের কাছে তো বটেই। কারণ তারা প্রথমবার এই আসরে খেলতে এসেছে। টুর্নামেন্ট খেলতে দীর্ঘ ১২ থেকে ১৪ বছরের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে এদেরকে। এজন্য তারা বেশ উজ্জিবিত। এটি একটি সম্মানেরও বিষয়। এখানে আসতে পেরে এরা সত্যিকার অর্থেই নিজেদের সম্মানিত বোধ করছে। আর নিজ দেশের জনগণের খুশির জন্যই তারা ভাল করতে চায়।আরএস
Advertisement