খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, উনি প্রকৃত ইসলাম বুঝেন না। উনি বুঝেন জামায়াতে ইসলাম। একজন মুসলমান কখনো আর একজন মুসলমানকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। একাত্তরের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারো মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।খালেদা জিয়া হচ্ছেন, সেই দানব, যার প্রতিদিন রক্ত চাই। আর এ কারণেই তিনি হরতাল-অবরোধের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে চলেছেন।মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি এসব কথা বলেন।তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানিদের লেজুড়বৃত্তি করে যেভাবে জামায়াত-শিবির একাত্তরে এদেশের মানুষকে হত্যা করেছে। ঠিক সেই বর্বর পাকিস্তানি কায়দায় তারা আবারও এ দেশে হত্যা, সহিংসতা, নাশকতা অব্যাহত রেখেছে। কোন মুসলমান একজন মুসলমানকে হত্যা করতে পারে না। সুতরাং যেভাবে মুসলমানদের পেট্রল বোমা ছুঁড়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় জামায়াত-শিবির যারা করছে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়, হতে পারে না।পলাশবাড়ি উপজেলা ১৪ দল ও পরিবহন মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি তোফাজ্জল হোসেন সরকার। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর উপজেলার সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, গোবিন্দগঞ্জের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মটর মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ-শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা ন্যাপের সভাপতি লুৎফর রহমান রঞ্জু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা, পলাশবাড়ি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর প্রধান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা জাসদ সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক সামিকুল ইসলাম লিপন, শহিদুল ইসলাম বাদশা, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার, শ্রমিক নেতা আব্দুস সোবহান, গোলাম সারওয়ার বিপ্লব, রেজানুর রহমান দিপ্তি, মটর মালিক সমিতির নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাবু ও এনামুল হক মকবুল প্রমুখ।এমএএস/আরআই
Advertisement