যারা সংলাপের কথা বলে তারা মূলত মানুষ হত্যাকারি ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দানবের সাথে মানবের কোন সংলাপ হতে পারে না। যারা নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করছে তাদের সাথে সংলাপ হবে না। আর যারা দানবের সাথে মানবের সংলাপের কথা বলে তারা হত্যা কারিদের রক্ষা করতে চায়।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণের অসন্তোষ নেই, অসন্তোষ খালেদা জিয়ার মনে এবং তার দোসর জামায়াত শিবিরের মনে। জনগণের দাবি অনুযায়ি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। সে বিচার বানচালের জন্য খালেদা জিয়া নেতৃত্বে দেশে সহিংসতা হচ্ছে। জনগণের শক্তি নিয়েই এদের মোকাবেলা করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা দেশ পরিচালনা করছি। দেশের সব স্বাভাবিক। কোথাও হরতাল হচ্ছে না। আসলে খালেদার লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, শেষ হবেই। কেউ বাধা গ্রস্থ করতে পারবে না।আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সকল জেলা উপজেলায় ১৪ দলের গণমিছিল সফল করার লক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকায় গণমছিলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যনে গিয়ে শেষ হবে।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন ও এডভোকেট সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা.দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম, সাম্যবাদী দলের সাধারন সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।আরএস/পিআর
Advertisement