অমর একুশে বইমেলা ১৭তম দিনে নতুন বই এসেছে ১২০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে কবিতার বই ৩০টি, গল্প ও উপন্যাস ১৭টি করে, ছড়া ৮টি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ১১টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য নতুন বইয়ের মধ্যে ঐতিহ্য এনেছে ইশতিয়াক হাসানের ‘সাবধান! মানুষ খেকো’, আশির আহমেদের ‘জাপান কাহিনি’ ও দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘কলপো গলপো’, অগ্রদূত পাবলিকেশনস এনেছে নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বনির্বাচিত মুক্তিযুদ্ধের কবিতা’, ভাষা প্রকাশ এনেছে ফজলুল বারীর ‘আমার দেখা শ্রেষ্ঠ বসন্ত’ প্রভৃতি।গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী রফিকুন নবী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মফিদুল হক, মইনুদ্দীন খালেদ এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী।রফিকুন নবী বলেন, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পাথেয় করে সম্ভবত কাইয়ুম চৌধুরীই সবচেয়ে বেশি ছবি এঁকেছেন। কখনো সরাসরি বক্তব্যকে প্রধান করে কখনো বা প্রতীকী অবয়বে। এই ছবিগুলি দেশের চিত্রকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।আলোচকবৃন্দরা বলেন, পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা কাইয়ুম চৌধুরী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিল্পের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর চিত্রকলা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে ধারণ করেছে বিপুল বৈভবে। চিত্রকলার উদ্ভাবনময়তা, শিল্পসংগঠন শক্তি ও নান্দনিক ভাবনায় কাইয়ুম চৌধুরী পরিণত হয়েছিলেন আমাদের সাংস্কৃতিক রুচির এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।সভাপতির বক্তব্যে সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে কাইয়ুম চৌধুরীর রেখা ও রঙে বাংলার চিরায়ত প্রকৃতি ও মানুষ যে অনন্য রূপ-ব্যঞ্জনায় ভাস্বর হয়ে ওঠেছে তা কখনো বিস্মৃত হবার নয়। লোকশিল্পকলার বিষয় ও আঙ্গিক তাঁর চিত্রভুবনকে করেছে একই সঙ্গে জনলগ্ন ও রুচিস্নিগ্ধ।সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুজতবা আহমেদ মুরশেদের পরিচালনায় সংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্ব-ভূমি’ এবং সালাউদ্দীন বাদলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সংগীত পরিবেশন করেন রোকাইয়া হাসিনা, অনিন্দিতা চৌধুরী, মির্জা শামসুল আলম, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, আফরোজ খান মিতা, সাইম রানা, হিমাদ্রী শেখর, শিমু দে, কবীর-উল-করিম এবং তানজীনা তথা।আরএস/আরআই
Advertisement