ঢাকাই ছবির দাপুটে অভিনেতা মিশা সওদাগর। রূপালী পর্দার খলনায়ক চরিত্রে তার অ্যাকশন বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে এসে তার সমসাময়িক অনেক শিল্পী হারিয়ে গেলেও তিনি এখনো সরব। শুধু অভিনেতা হিসেবে নয়, মিশা ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিপদ-আপদে সবসময়ই নিবেদিত প্রাণ। তার জনপ্রিয়তাও আশাকচুম্বী! সেই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে মিশা সওদাগর এবার ভাবছেন নতুন কিছু।২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচিত বর্তমান কমিটির দায়িত্ব। এরপরই নব্বই দিনের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বি-বার্ষিক এই নির্বাচনে আগামী বছর সভাপতির পদে লড়বেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।চলচ্চিত্রপাড়ায় এমন খবর কিছুদিন ধরে উড়ে বেড়াচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এফডিসিতে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে মিশা নিজেই বললেন তিনি আগামী শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি লড়বেন। তার ভাষ্য, ‘আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু চারপাশের মানুষ চাচ্ছেন আমি নির্বাচনে লড়ি। সে কারণে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন করবো।’মিশার মতে, তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন। চলচ্চিত্রের দুর্দিনে পাশে থেকেছেন। অনেকদিন ধরেই শিল্পী সমিতির নানা দায়িত্বের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করছেন, সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছনে। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতাই নতুন করে কাজে লাগাতে চান।এদিকে শিল্পী সমিতির একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর জন্য মিশা সওদাগর নিজেকে প্রস্তুত করছেন। বর্তমান সদস্যরাও তাকে উৎসাহিত করছেন।তারা বলছেন, ‘মিশা ভাই সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে অবশ্যই আমরা তার পাশে থাকবো, তাকে সমর্থন জানাবো। কারণ, সভাপতি হিসেবে আমরা এমন অভিজ্ঞ কাউকেই চাই। শুধু চেয়ার দখল করা সভাপতি দিয়ে কী লাভ! আর এই গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে একজন নিষ্ঠাবান, দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কর্মঠ এবং সবসময় পাওয়া যায় এমন কাউকেই প্রয়োজন।’প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতি পদে চিত্রনায়ক শাকিব খান, সহ-সভাপতি পদে ওমর সানি এবং সাধারণ সম্পাদক জয়লাভ করেন অমিত হাসান।এনই/বিএ
Advertisement