চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে সেটা আর হাতছাড়া করেননি টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট বাংলাদেশ পেয়েছিল ঐতিহাসিক জয়, ১০৮ রানে। এটাই ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়। তবে জয়টা পাওয়া খুব সহজ ছিল না। কারণ বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই শতরান তুলে নেন দুই ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট ও অ্যালিস্টার কুক। এতে বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অনেকটা রেগে যান। যেই ইংল্যান্ড দল ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায়, তারা কীভাবে শতরানের জুটি বাঁধে? চা-বিরতিতে শিষ্যদের পেয়ে জয়ের পথ বাতলে দেন বাংলাদেশ কোচ হাথুরু। দলের চারজন সিনিয়র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এই লঙ্কান। বলার অপেক্ষা রাখে না যে উদ্দেশ্য একটাই, যে করেই হোক ইংলিশদের আধিপত্য ভাঙতে হবে। ব্রেকথ্রু আনার পর চেপে ধরতে হবে সফরকারীদের। কোচের দেয়া মন্ত্র বাস্তবায়ন করেন টাইগাররা। জুনিয়রদের খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন সিনিয়ররা। সাকিব যেমন বোলিংটা দারুণভাবে করেছেন, তেমনি ফিল্ডিংও। আর শুরুর দিকে ফিল্ডিং মিস করা মাহমুদউল্লাহ ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরা ঢেলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তামিম ইকবাল (সহঅধিনায়ক) বোলারদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। এরপর তো গল্প। মিরাজ তুলে নিলেন ৬ উইকেট। বাকি চার উইকেট নিয়েছেন সাকিব। আর তাতে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ইনিংস। সেদিন হাথুরু কীভাবে খেলোয়াড়েদের থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন? তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক বলেন, ‘চা-বিরতিতে খেলোয়াড়দের ওপর চটে যান কোচ। আর সেটা না হলে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। বোলাররা নিজেদের ফিরে পেতে সংগ্রাম করছিল। আমরা দলের সিনিয়র খেলোয়াড় ও কোচকে নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। দলের কোচ সিনিয়রদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করি। তামিমকে মিড-অফে আনতে বলেছিলেন, যাতে করে তামিম বোলারদের সাহায্য করতে পারে।’এনইউ/পিআর
Advertisement