দশম জাতীয় সংসদের ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৬ষ্ঠ বৈঠকে হরতাল-অবরোধের নাশকতার কারণে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির জন্য যারা দায়ী তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরণ আদায়ের একটি আইন করার সুপারিশ করা হয়েছে।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এছাড়া অবহেলা জনিত দূর্ঘটনার কারণে কোন শ্রমিক মৃত্যবরণ করলে তিনি কত টাকা ক্ষতিপুরণ প্রাপ্য হবেন সে বিষয়েও একটি আইন করার সুপারিশ করা হয়।সাম্প্রতিক সময়ের হরতাল-অবরোধে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি, কারখানার শ্রমিকদের সময়মত মজুরী না পাওয়ার বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের গৃহীত ব্যবস্থা এবং বাটা সু-কোম্পানীর শ্রমিক ছাঁটাই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের উপর বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।বৈঠকে জানানো হয়, হরতাল-অবরোধে শ্রমিক পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪৯ শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। মালিক পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে জন্য কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম, পণ্য বিপনন ও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।এছাড়া বৈঠকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ডরমেটরী নির্মাণ এবং পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় যে আইন প্রণয়ন করেছে সে আইনটিকে যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।বৈঠকে কমিটি সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক, মো: ইসরাফিল আলম, আনোয়ারুল আবেদীন খান, ছবি বিশ্বাস, শিরীন আখতার, মো: রুহুল আমিন এবং মো: রেজাউল হক চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।আরএস/আরআই
Advertisement