দুই স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হামদু মিয়া। শেষ পর্যন্ত ঘটনা আদালতে গড়ায়। স্বামীকে ঠিকমতো কাছে পেতে বিচারকের শরণাপন্ন হয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিনা বেগম (৩২)।শাহিনা বেগমের আকুতি শুনে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আলমগীর কবির রাজ দুই স্ত্রীর কে কত দিন হামদু মিয়ার সঙ্গে থাকবেন, তা মৌখিকভাবে ঠিক করে দিয়েছেন। এ দিন বিচারক হামদু মিয়াকে বলেন, আপনি বড় স্ত্রী রিতার (৩৪) কাছে সপ্তাহে পাঁচ দিন থাকবেন এবং ছোট স্ত্রী শাহিনা বেগমের কাছে দু’দিন থাকবেন। বিচারকের এ আদেশের পর ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা শাহিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ও (বড় স্ত্রী) পাঁচ দিন কাছে পেলে আমি কেন দু’দিন পাবো। সে তো আমারও স্বামী। আমার বয়সই বা কত হয়েছে। তবে দু’দিন পেলেও বিচারকের এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার স্বামী হামদু (৪৬) দুই বিয়ে করেছে, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সে আমার কাছে থাকতে চায় না। সে তার বড় স্ত্রীর কাছে থাকে। এজন্যই বিচারকের শরণাপন্ন হয়েছি।’ মামলা সূত্রে জানা যায়, শাহিনা বেগম ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল তার স্বামী হামদু ও তার সতিনের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী ও সতিন তাকে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে তারা তার হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলেন। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতও করেন। ২০১৫ সালের ২০ জুন ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষীর পর্যায়ে রয়েছে।বুধবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এ দিন উভয় পক্ষ আদালতে উপস্থিত হয়। আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। সেই সঙ্গে হামদু মিয়াকে উভয় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর দিন মৌখিকভাবে ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক। জেএ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement