ধর্ম

পশ্চিমাকাশে সূর্যোদয় কিয়ামতের আলামত

কিয়ামত সুনিশ্চিত। তবে কখন এ কিয়ামত সংঘটিত হবে সে ব্যাপারে মানুষের কোনো জ্ঞান নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কিয়ামত কখন হবে- তিনি এ ব্যাপারে কোনো কিছুই বলেননি। কিন্তু তিনি কিয়ামতের অনেক আলামত বর্ণনা করেছেন। ইতোপূর্বে কিয়ামতের আলামত ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।পশ্চিম গগন থেকে সূর্য ওঠা হলো কিয়ামতের অনেক বড় আলামতের একটি। এ ঘটনাটি হচ্ছে ঊর্ধ্ব জগতের বিবর্তনকারী সর্ববৃহৎ প্রথম নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেদিন অাপনার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন আসবে, সেদিন এমন কোনো ব্যক্তির বিশ্বাস স্থাপন তার জন্য ফলপ্রসূ হবে না; যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনোরূপ সৎকর্ম করেনি।’ (সুরা আনআ’ম : আয়াত ১৫৮)পশ্চিম প্রান্ত থেকে সূর্য ওঠা সম্পর্কিত সুরা আনআ’মের আয়াতের ব্যাখ্যায় হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘পশ্চিম গগন থেকে সূর্য না ওঠা পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে তখন সকল মানুষ ঈমান আনবে। কিন্তু সেদিন- ‘এমন কোনো ব্যক্তির বিশ্বাস স্থাপন তার জন্য ফলপ্রসূ হবে না; যে পূর্ব থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনোরূপ সৎকর্ম করেনি।’ (বুখারি ও মুসলিম)মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে এসেছে যে, কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামতের মধ্যে পশ্চিম গগন থেকে সূর্য ওঠা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘কিয়ামতের সর্ব প্রথম আলামতের মধ্যে পশ্চিম গগন থেকে সূর্য উদিত হওয়া এবং চাশতের (নামাজের) সময় মানুষদের ওপর জন্তুর আবির্ভাব হবে। যেটিই তার সাথীর পূর্বে হোক দ্বিতীয়টি তার পরই জলদি চলে আসবে।কিয়ামতের আলামত বর্ণনার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- মানুষ অন্যায় পথ পরিহার করে ন্যায়ের পথে আসবে। আল্লাহ বিধান পালনে একনিষ্ঠ হবে। কুরআন সুন্নাহভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ উদ্যোগী হবে। ঈমান ও আমলের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে ব্রতী হবে।কুরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু কিয়ামতের আলামত প্রকাশ পাওয়ার কেউ যদি ঈমান আনতে চায় বা সৎকর্ম করতে চায় তার এ সৎকাজ এবং ঈমান গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ কিয়ামতের আলামতগুলো প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই প্রকৃত ঈমানদার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস

Advertisement