জাতীয়

দুর্নীতিবাজ সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে : দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শুধু প্রভাবশালীরাই নয়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার রাজধানীতে দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. নাসির উদ্দিন ও সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।চলতি বছরের ১৪ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজই (বুধবার) প্রথম সংবাদ সম্মেলন করল কমিশন। যদিও এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, শুধু প্রভাবশালীরাই নয়, যারাই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে।’চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি এবং কেউ অন্যায় আবদারের জন্যও কমিশনে আসেনি বলে জানান তিনি।দুর্নীতির মামলায় বুধবার কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির তিন বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের কোনো বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া নেই। তবে আমরা প্রতিটি মামলায় সাজা চাই।’দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুলিশের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়, এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ। আমরা সরকারকে সুপারিশ করেছি, পুলিশের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে একটি স্বাধীন জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করতে। এটা হলে পুলিশ আরো জনবান্ধব হবে এবং মানুষ অধিক সেবা পাবে।’প্রত্যেক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির একটি করে নথি থাকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের প্রতিটি উপার্জনক্ষম ব্যক্তির কর দেওয়া উচিত। কর ফাইল থাকলে সম্পদের হিসাব সহজে নেওয়া সম্ভব। এতে দুর্নীতি প্রতিরোধও সম্ভব হবে।’দুদকের গ্রেফতারের বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা আতঙ্কে নেই। যারা ঋণ দেবেন এবং যারা নেবেন উভয় পক্ষকে আইন-কানুন মেনে কাজ করতে হবে।’বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৫৬টি মামলা হয়েছে, আরো হবে। এসব মামলায় কারা আসামি হবে সে বিষয়ে অগ্রিম কিছু বলা যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।’গ্রেফতার মূল উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা। ইতোমধ্যে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য দেশের সব বন্দরে তাদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’Corrupts must be brought to justice: ACC Chairmanএমইউএইচ/এমএমজেড/এবিএস

Advertisement