২০০৮ সালের এই দিনটি ছিলো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির একটি দিন। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি। ২০০৮ সালের এই দিনে সমগ্র দেশবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরপারে পাড়ি জমান বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মহানায়ক মান্না। মৃত্যুর আগের রাতেও শুটিং করেছিলেন মান্না। সকালবেলা জানা গেল তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দুপুরবেলা চিকিৎসকরা জানালেন, মান্না আর নেই। এমন দুঃসংবাদের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। প্রিয় নায়ক মান্নাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য ভক্তরা পাগলপ্রায়, এফডিসিজুড়ে ছিল আপনজনদের আহাজারি। মান্নাবিহীন ঢাকাই সিনেমা এখন যেন অনেকটাই নিষ্প্রাণ। শুটিং থেকে শুরু করে ব্যবসা এমনকি আন্দোলনের সময়ও মান্নার কথা সবার মনে পড়ে। সবাই অকপটে স্বীকার করেন, মান্না থাকলে এমনটি হতো, কিংবা মান্না থাকলে এমনটি হতো না। কারণ, মান্না শুধু একজন নায়ক কিংবা অভিনয়শিল্পীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নিবেদিতপ্রাণ একজন সিনেমাপ্রেমী। যার কাজে কর্মে শয়নে স্বপ্নে ভাল চিন্তায় থাকতো শুধুই চলচ্চিত্র। রূপালি পর্দার প্রতিবাদী নায়ক মান্না ছিলেন বাস্তবেও একটি প্রতিবাদী চরিত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল তার স্বভাব। প্রতিবাদই তাকে দর্শক মনে যেমন স্থায়ী আসন দিয়েছে তেমনি চলচ্চিত্র শিল্পেও অদ্বিতীয় করে রেখেছে। দর্শকদের ভালবাসা পাওয়া একজন শিল্পীর জন্য যা সবচেয়ে বড় পাওয়া। চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বস্তরের মানুষের মনে আলাদাভাবে জায়গা করে আছেন মান্না। তাই তো সাত বছরেও মান্নার স্মৃতি এতটুকু ম্লান হয়ে যায়নি ভক্তদের হৃদয় থেকে।এইচএন/আরআইপি
Advertisement