মতামত

শিক্ষার মূল লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়

দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পঞ্চম শ্রেণি এবং ৮ম শ্রেণিতেই শিক্ষার্থীদের দু’টি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এরপর এসএসসি ও এইচএসসি তো রয়েছেই। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সারা দেশে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। এই পরীক্ষা শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এবার ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৪৫ জন ছেলে এবং ১০ লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ জন মেয়ে। অন্যদিকে, ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭২ জন জেডিসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৪ জন ছাত্রী। এছাড়াও, বিদেশের ৮টি কেন্দ্র থেকে ৬৮১ জন শিক্ষার্থী এবারের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ৮৪২ জন। এটা নিশ্চয়ই ইতিবাচক দিক। একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সকালে পরীক্ষাকেদ্র পরিদর্শনে গিয়ে যেমনটি বলেছেন- শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সৃজনশীল পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির উন্মেষ ঘটানো। মুখস্ত বিদ্যার শিক্ষা যে এই যুগে অচল সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। গাইড নির্ভর শিক্ষাও কোনো কাজের কথা নয়। এছাড়া পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও শিক্ষার যে অনেক বিষয় ও পদ্ধতি আছে সেটিও মনে রাখা দরকার। শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ছাড়া একটি জাতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আশার কথা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে এবং ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময়মত পরীক্ষা হচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট সময়েই এর ফলাফলও প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হচ্ছে। তবে মনে রাখা রাখতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে শিক্ষার মূল লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমাদের শুভকামনা।  এইচআর/পিআর

Advertisement