অসাধারণ দুটি ক্রিকেট মৌসুম কাটালো বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের শেষ অংশ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বদলে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে দেখছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। সে ধারাবাহিতায় এবার টেস্ট ক্রিকেটেও জয়রথ ছোটালো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী একটি দলকে মাত্র তিনদিনেই হারিয়ে দিল ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে।এমন এক অসাধারণ জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সবারই শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন পাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের গর্বিত ক্রিকেটাররা। প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোনে কথা বলেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে।একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন টিম বাংলাদেশকে। আশা করা হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গণভবনে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেবে ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিও। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, গত দু-তিন বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেজন্য তাদের বিসিবির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তবে কোথায় এই অনুষ্ঠানটি হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।অর্থাৎ শুধু টেস্ট সাফল্য নয়, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্য অর্জনের জন্যও ক্রিকেটারদের আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেবে বিসিবি। অর্থাৎ গত দুই বছর যত ক্রিকেটার খেলেছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে, সবাই থাকবেন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।৪ নভেম্বর শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর বিপিএলের চতুর্থ আসর। যদিও ৭ নভেম্বর বিপিএলের কোনো খেলা নেই। তবুও বিপিএল চলাকালীন কেন এই সংবর্ধনার আয়োজন? মল্লিক জানান, বিপিএল শেষেই শুরু হবে নিউজিল্যান্ড সফরের তোড়জোড়। এ কারণেই বিপিএল চলাকালীনই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।আইএইচএস/পিআর
Advertisement