অর্থনীতি

জনশক্তি রফতানি বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স

বিদেশে জনশক্তি রফতানি বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের কার্যাবলির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৭ জন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৬। অর্থাৎ এক বছরে ৪৮ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি জানশক্তি রফতানি হয়েছে। তবে জনশক্তি রফতানি বাড়লেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় আড়াই শতাংশ কমেছে।গত বছর দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছর এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার।মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হয়েছে ৮ লাখ ১১ দশমিক ২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ১৪.০৪ শতাংশ বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ১ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারি খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঋণ নেয়া হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। গত বছর ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে (৩০ জুন পর্যন্ত) সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) তুলনায় ১৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। গত বছর রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৬৩ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নীত হয়েছে ৩০ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছর ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বেড়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যুতের সবোর্চ্চ চাহিদা ও উৎপাদনের পরিমাণ উভয়ই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, লোডশেডিং কমেছে ৩২ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লস ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।এমইউএইচ/আরএস/পিআর

Advertisement