খেলাধুলা

খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা পাচ্ছেন মুশফিকরা

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়। এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠিত শক্তিকে টেস্টে পরাজিত করতে পারলো বাংলাদেশ। তাও আবার মাত্র তিনদিনে। এমন একটি জয়ের পর যখন আনন্দে ভাসছে পুরো বাংলাদেশ, তখন মুশফিক-সাকিব-মিরাজদের সংবর্ধনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার রাতেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন টিম বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং নিউ সেনসেশন মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে। জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী এবং টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।তারা জানান, অসাধারণ এক জয় উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী দলীয় অধিনায়কসহ সাকিব-তামিম এবং মিরাজকে অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে পুরো দল নিয়ে একদিন তার বাসভবন, গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। টিম ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারেননি বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। ব্যবসায়িক কাজে ছিলেন সিঙ্গাপুর। তবে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে রাতেই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সোজা চলে যান টিম হোটেল, র‌্যাডিসন ব্লুতে।সেখানে গিয়েই বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফোন করেন প্রধানমন্ত্রীকে। ওই সময়ই প্রধানমন্ত্রী বিসিবি প্রেসিডেন্টের মোবাইলে কথা বলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তখনই তিনি তার বাসভবনে ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানান। অর্থাৎ ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে গণভবনে সংবর্ধনাই দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কবে সেই সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হতে পারে। কারণ, ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের চতুর্থ আসর।ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, বিসিবি প্রেসিডেন্ট টিম হোটেলে পৌঁছার পর ক্রিকেটারদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। একইসঙ্গে তাদের নিয়ে হোটেলেই বিজয় উদযাপন করেন। বিশেষ খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করেন। এ সময় শুধু ক্রিকেটাররাই নন, বিসিবির প্রায় সব পরিচালক, টিম ম্যানেজমেন্টের সব সদস্য, নির্বাচক কমিটির সদস্য, সব কোচিং স্টাফ উপস্থিত ছিলেন।আইএইচএস/এমএস

Advertisement