ইতালিতে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। রোববার ইতালির মধ্যাঞ্চলে ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর এবং গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই নিজেদের গাড়ি, তাবু এবং আশ্রয় শিবিরে রাত কাটিয়েছেন। খবর বিবিসির। ওই একই এলাকায় গত আগস্টে আরো একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৩শ’মানুষ প্রাণ হারায়। রোববারের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি তবে এখন পর্যন্ত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের পর অনেকেই নিজেদের বাড়িতেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে অধিকাংশই আদ্রিয়াটিক উপকূলে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ভূমিকম্পের আঘাতে নোরচিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রের একটি গির্জা ধসে পড়েছে। এমনকি শহরের বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঐতিহাসিক সেন্ট বেনেডিক্ট গির্জা এবং টাউন হল ভবনগুলোও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রাজধানী রোম এবং ভেনিস শহরের উত্তরাঞ্চলও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। সেখানে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি পেরুগিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ৬৮ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০৮ কিলোমিটার।এর আগে বুধবার দেশটিতে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের সময় রাজধানী রোমেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘এখানে আর কোনো স্কুল, কোনো গির্জা বা কোনো পুলিশ স্টেশনও নেই। ভূমিকম্পে সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’টিটিএন/এমএস
Advertisement