পায়ে কারুকাজ নেই। দর্শনীয় গোল নেই। পোস্টের নিচে দুর্দান্ত কোনো সেভও চোখে পড়ে না। জাতীয় দলে কারা খেলেন হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অন্যদের কেউ চিনেনই না। তারা যখন মাঠে খেলেন তখন গ্যালারিশূন্য থাকে। অথচ দলবদলের সময় এলে এই ফুটবলারদের পেছনেই টাকা নিয়ে দৌড়ান ক্লাব কর্মকর্তারা। আর টাকার পরিমাণ কারো কারো জন্য অর্ধকোটিরও উপরে। দিন দিন ফুটবল অধপতনে যাচ্ছে; কিন্তু বাড়ছে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক। অনেকের মতে, বাংলাদেশের ফুটবলাররা অতি মূল্যায়িত। চলমান মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া স্থানীয় ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। জনশ্রুতি আছে তিনি ৬০ লাখ টাকা পেয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে। আরও কয়েকজনের ৫০/৫৫ লাখ পাওয়ার খবরও আছে বাজারে। এক মৌসুমে ৬০ লাখ টাকা! লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে মৌসুমে গোটা ত্রিশে ম্যাচ খেলেন ফুটবলাররা। ৩০টা ম্যাচ হলে প্রতি ম্যাচের পারিশ্রমিক ২ লাখ টাকা! প্রতি মাসে ৫ লাখ!! এর বাইরেরও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য বেশ সুযোগ সুবিধা আছে। ক্যাম্প থেকে গোপনে গিয়ে খ্যাপ খেলার উদাহরণও আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো-অর্ধকোটি টাকাও নাকি যথেষ্ট নয় ফুটবলারদের কাছে। আজ (রোববার) ‘ফুটবল ধ্বংসের অপচেষ্টার প্রতিবাদে’ আয়োজিত ফুটবলারদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে এ কথা বলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফুটবল খেলে আমরা টাকা কমই পাই। তাছাড়া কতজনই বা ভালো টাকা পান? আমরা যে টাকা পাই তা কস্ট করে হালাল করি। তাই ভালো করলে যেমন আমরা প্রশংসা পাই, তেমনি খারাপা করলে সমালোচিত হই।`বর্তমানে ফুটবলাররা ক্লাব থেকে এত টাকা পান বলেই তারা জাতীয় দলের সেরাটা দেন না, পা বাঁচিয়ে খেলেন-এমন অভিযোগও আছে। এমন কি বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও ‘ভুটানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে বলেছিলেন, বর্তমানের ফুটবলাররা খেলার চেয়ে টাকাকে বেশি প্রাধান্য দেয়।’ এত টাকার ফুটবলাররা হারেন ভুটানের কাছে। অথচ ভুটানের ফুটবলাররা ক্লাব থেকে সামান্য টাকা পান। তাদের কাছে হেরে এসে মামুনুলরা বলছেন এ টাকা তেমন কিছু নয়!!আরআই/এবিএস
Advertisement