জাতীয়

হামলাকারীদের পক্ষে বক্তব্য দানকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বোমা হামলাকারীদের পাশাপাশি যারা এই পেট্রল বোমার পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর রোববার ১৫তম দিনে সরকারি দলের পঞ্চানন বিশ্বাস, আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন, নিলুফার জাফরুল্লাহ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কামাল আহমেদ মজুমদার, এম এ মালেক, বেগম ফজিলাতুন নেসা, ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।তারা বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের হোতাদের সাথে কোন সংলাপ হতে পারে না। এ দেশের জনগণ পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের সাথে কোন ধরনের সংলাপ বা আলোচনা চায় না। এদের রূখে দাঁড়াতে হবে, তাদের সাথে আপোসের কোন প্রশ্নই আসে না।গত ১৯ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। এরপর গত ২০ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের ডা. দীপু মনি তা সমর্থন করেন।আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা আরো বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করে বর্তমান সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন প্রতিহতের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে। নির্বাচন তাদের মূল উদ্দেশ্য নয় মূলতঃ তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়।তারা বলেন, সরকার যখন দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিল তখনই বিএনপি-জামায়াত জোট আবারো আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যায় নেমেছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকার ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। পৃথিবীর প্রতিটি সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই সরকারের কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ বর্তমান সরকারের সাথে রয়েছে।তারা আরো বলেন, সরকারের অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে গত এক মাসের মতো সময় ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত যেমন ক্ষমতায় থাকলে মানুষের উপর নির্যাতন করে ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের উপর নির্যাতন করছে। তারা এদেশের গণতান্ত্রিক সরকার ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করছে।দশম জাতীয় সংসদের ৫ম অধিবেশন রোববার বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুনরায় শুরু হয়। সংসদের বৈঠক আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।আরএস

Advertisement