মানবদেহের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে মস্তিষ্ক। এর থেকে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা কাজ করে থাকি। কিন্তু এসব ছাড়াও আমাদের মস্তিষ্কের কিছু নিজস্ব কাজ আছে, যা দ্বারা তারা নিজেরা নিজেদের কর্মব্যস্ত রাখে। আমরা প্রায়ই বলি মনের অজান্তে আমরা এই কাজটি করে ফেলেছি। কিন্তু তা কীভাবে হয়ে থাকে। তার থেকে পাওয়া তথ্য কী আমাদের মস্তিষ্কে থাকে? আমরা কী সংকেত পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ করতে শুরু করি? আমাদের মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া যায় এসব প্রশ্নের উত্তর।তথ্য যাচাই-বাছাইআমাদের আশপাশে যা ঘটে তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা তথ্য পাই। আর এসব তথ্য জমা হওয়া কিংবা তা পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। এর সাহায্য ছাড়া আমরা সব দেখতে পাবো ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ আমরা বুঝতে পারবো না। তাই আপনার কান, চোখ থাকলেও আপনার মস্তিষ্ক না থাকলে আপনি অচল।সাময়িক ভুলে যাওয়াআমরা প্রায় অনেক সময় বলে থাকি যে কিছুক্ষণ আগে কী ঘটে গেলো? কিছু সময়ের জন্য আমরা ব্লাইন্ড হয়ে যাই। আর এটি হয়ে থাকে আমাদের মস্তিষ্কের কিছুটা বিরতি দেয়ার জন্য। আপনি যখন আপনার মনের অজান্তেই অনেক কিছু ভাবতে থাকেন আর আপনার মস্তিষ্কে চাপ পড়তে থাকে, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে আবার কাজে ফিরিয়ে আনতে এটি করে থাকে। আপনি ঠিকই সব দেখতে পান আর ভুলেও যান না কিছু, শুধু অল্প সময়ের জন্য তা মনে রাখতে পারেন না।উচ্চারণ কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে জিহ্বা। এর সাহায্য ছাড়া আমরা কোনো শব্দই সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারবো না। তবে এর থেকেও বড় কথা হচ্ছে মস্তিষ্ক ছাড়া শুধু জিহ্ববা দিয়ে কথা বলা সম্ভব না। আমরা কখন কী ভাবি, কী বলতে চাই তার তথ্য পৌঁছায় সরাসরি মস্তিষ্কে আর আমরা আমাদের চোখের সামনে তা দেখতে পাই এবং অনুভব করতে পারি। যা খুব অল্প সময়ে ঘটায় আমরা বুঝে উঠতে পারি না।তাপমাত্রাখুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যখন প্রচণ্ড গরমে কিংবা ঠান্ডায় থাকি তখন আমাদের শরীর কীভাবে সেই স্থানের সঙ্গে মানিয়ে নেয়? এটি কেবল সম্ভব আমাদের মস্তিষ্কের কারণে। আপনি প্রচণ্ড গরমে থাকলে মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সাহায্য নিয়ে বাড়তি তাপমাত্রা বের করে দেয়। আর প্রচণ্ড শীতে শরীরে তাপ সরবরাহ করে।এইচএন/এমএস
Advertisement