হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, জ্বালাও পোড়াও এবং সহিংসতা ও নৈরাজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, জ্বালাও পোড়াও, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা ধ্বংস এবং সহিংসতাকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।রোববার এ সংক্রান্ত আনা রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইঝুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।রিট আবেদনগুলো দায়ের করেন কেরানিগঞ্জের ইস্পাহানি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু ও কেরানিগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান শাহিন।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আবদুল বাসেত মজুমদার ও আবদুল মতিন খসরু, সাহারা খাতুন।রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি), ডিএমপি কমিশনার, বিএনপির চেয়ারপার্সন জেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ শতাধিক ব্যক্তিকে।হরতাল অবরোধের নামে হুমকি, সহিংসতা এবং ৫ জানুয়ারির হরতাল আহবান ও তা অব্যাহত রাখা এবং এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল-অবরোধ দেয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যেনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে এবং যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অপরদিকে হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হরতাল আহবানকারীদের কেনো নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তা জানাতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।আরএস/বিএ/এমএস/আরএস
Advertisement