এক উইকেটে ১৭১ রানে থাকা বাংলাদেশকে মাত্র ২২০ রানে গুটিয়ে দিতে ইংলিশদের পক্ষে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মঈন আলি। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। গড়পড়তার স্পিনার হয়েও দারুণ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনি। এ কারণে সংবাদ সম্মেলনেও তার এমন সাফল্যের রহস্য জানতে চাইলেন ইংলিশ সাংবাদিকরা।উত্তরে মঈন বলেন, ‘ঠিক জানি না, আমি স্পিনার হিসেবে তেমন বেশি সাফল্য পাইনি। তবে আমি যে গতিতে বল করি তা এ উইকেটে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আদর্শ। এ বিষয়টাই সাহায্য করেছে এবং আমি আরও ধারাবাহিক হবার চেষ্টা করছি। তাদের অফস্পিনাররা আরও বেশি নিখুঁত এবং আমিও তেমন করার চেষ্টা করি।’ইংলিশ দলে মঈন ছাড়া বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে রয়েছেন আদিল রশিদ ও জাফর আনসারি। তবে এ দু`জনই টেস্ট ক্রিকেটে নবীন। তাই অভিজ্ঞতার দায়িত্ব থেকেই ভালো করার চেষ্টা করেন মঈন আলি।‘জাফরের (জাফর আনসারি) এটা প্রথম ম্যাচ, তাই হয়তো সে নার্ভাস। রাশ (আদল রশিদ) এটা নিয়ে পঞ্চম টেস্ট খেললো। আমি ৩০টার মত ম্যাচ খেলেছি যে অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করেছে।’এদিন দারুণ এক বলে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালকে আউট করেন মঈন। অথচ মঈনের আগের ওভারেই ৯৩ রান থেকে টানা দুই চার মেরে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। মঈনের দৃষ্টিতে দুটি বল দারুণ শট করে চার মেরেছেন তামিম। তাই হতাশ না হয়ে আরও ভালো করার চেষ্টা করেন তিনি এবং তাতেই সাফল্য পান এ অলরাউন্ডার।‘সে যে চারগুলো আমাকে মেরেছে, আমার ধারণা সেগুলো খুব ভালো বল ছিল। অবশ্যই দুটো দারুণ শট ছিল। আমি এমন অনেক মার খেয়েছি তাই আমি হতাশ হইনি। পরের বলে আমার সেরাটা দিয়ে করার চেষ্টা করেছি এবং আমি পেরেছি।’আরটি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement