ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায়ই ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনায়। গত ২৫ জানুয়ারী থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৯ দিনে এ অংশে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এগুলো শুধুই দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। গত ২৫ জানুয়ারী ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং রেলস্টেশনের কাছে দুপুর সোয়া দুইটায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় দ্রুত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত হয় অন্তত ১০জন। ঘটনার পরপরই ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আখাউড়া লেকোসেড থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে ৯ ঘন্টা সময় নেয়। এদিকে, ৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের কাছে চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শেষে করলে রাত সাড়ে ১১টায় ট্রেন চলচল স্বাভাবিক হয়।সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকেল সোয়া ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন মৌড়াইল রেলক্রসিং এলাকায় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে আখাউড়া লোকোসেড থেকে উদ্ধরকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শেষে করলে রাত পৌণে ১২টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার মাইনুল হককে সাময়িক বরখাস্ত এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।এসব দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আখাউড়া লোকোসেড ইনচার্জ মো. মহসিন ভূইয়া জাগোনিউজকে জানান, দুর্বৃত্তরা ফিশপ্লেট খুলে রাখায় পাঘাচংয়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে রেল লাইনে সমস্যা থাকার কারণে। তবে নাশকতা রোধে প্রতি কিলোমিটার রেলপথ পাহারায় তিনজন করে চৌকিদার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন ফারুক জানান, দুর্ঘটনাগুলো নিছক দুর্ঘটনা কোন নাশকতা নয়। এএইচ/এমএস
Advertisement