জাতীয়

সড়কপথে বাংলাদেশসহ চার দেশে চলবে গাড়ি

সড়কপথে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানে সরাসরি গাড়ি চলাচলে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। এটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশি প্রাইভেট কার ও ট্রাক সরাসরি নেপাল ও ভুটান যাতায়াত করতে পারবে। এ লক্ষ্যে চার দেশের যোগাযোগমন্ত্রীরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী ও কার্গোবাহী বাস-ট্রাক চালানোর বিষয়ে চুক্তির জন্য ১৯ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। বিগত দুটি সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত নভেম্বরে নেপালের শীর্ষ সম্মেলনে চুক্তির খসড়া চূড়ান্তও হয়েছিল। কিন্তু আস্থার সংকটে শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর হয়নি সার্ক মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট। কারণ বার বার পাকিস্তানই এ চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার সার্কের বাইরে গিয়ে একই খসড়া ধরে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে চার দেশের মধ্যে চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানা গেছে।কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রাইচকে মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন চার দেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা। চুক্তি হলে সার্কের এই চার দেশের সীমান্তে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ট্রান্সশিপমেন্টের প্রয়োজন হবে না। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এ পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন। ভারতের যোগাযোগ সচিব বিজয় চিব্বারের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল, ভুটানের সচিব কিনলে দর্জি, নেপালের যুগ্ম সচিব দেবেন্দ্র কারকি ও ভারতের যুগ্ম সচিব সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে সার্ক মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্টের খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেই চুক্তির খসড়ায় উল্লেখ করা পদ্ধতিতে প্রাইভেট কার, বাণিজ্যিক বাস, কার্গো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করবে। তবে এ খসড়ায় কয়েকটি অনুচ্ছেদ সংযোজন এবং বিয়োজনে একমত হয়েছেন উপস্থিত কর্মকর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- আঞ্চলিক এ চুক্তি সার্কের অধীনেই হবে। এখন চার দেশ এতে অংশ নিলেও পরে সার্কের সদস্য যে কোনো দেশ এতে অংশ নিতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এ চুক্তি থেকে সর্বাধিক লাভবান হবে সেহেতু এখনই চার দেশের মধ্যে চুক্তি হচ্ছে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবস্থা আছে। তবে নতুন চুক্তি হলে বাংলাদেশি ট্রাক ও প্রাইভেট কার ভারতের ভিতর দিয়ে সরাসরি নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবে। অন্যদেরও একই ধরনের সুযোগ থাকবে। শুধু বাণিজ্যিক পরিবহন নয়, এ উদ্যোগ পর্যটনের ক্ষেত্রেও বড় সাফল্য আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে নেপাল ও ভুটানের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মতো।এএইচ/এমএস

Advertisement