খেলাধুলা

ইংলিশদের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য টেল এন্ডে!

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন গ্যারেথ ব্যাটি। অথচ এ ইংলিশ স্পিনারদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি রয়েছে ৩টি। তার আগে ১০ নম্বরে নামা স্টুয়ার্ট ব্রডের তো টেস্ট ম্যাচেই সেঞ্চুরি আছে। নয় নম্বরে নামা আদিল রশিদের হয়েছে ১০ টা। অথচ সেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের সেঞ্চুরি ছয়টি। ইংলিশদের বিপক্ষে তাই বাংলাদেশের বড় পার্থক্যই টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান।টেল এন্ডারদের পার্থক্য তুলে ধরে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিক বলেন, ‘ওদের টেল এন্ডারদের ১০-১১টা করে সেঞ্চুরি আছে। সেরকম হয়তো আমারও নেই ফার্স্ট ক্লাসে। ওদের কাঠামোও বোঝেন আপনারা। ওরা সেই অবদানটা রাখতে পারে কারণ, ওরা অলরাউন্ডার। ওদের ৩-৪ জন অলরাউন্ডার।’তবে সেঞ্চুরি না থাকলেও খুব পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। শেষ টেস্টে নয় নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীন এ ক্রিকেটার বল হাতে জ্বলে উঠলেও মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে স্বীকৃত। সঙ্গে তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দ্বিতীয় টেস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। এছাড়াও দলে রয়েছেন সাব্বির, সৌম্য, রিয়াদের মতো খেলোয়াড়রা। তারা ব্যাটের সঙ্গে বলেও অবদান রাখতে পারেন। তাই বাংলাদেশের একসময় অলরাউন্ডারে পরিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস মুশফিকের।  ‘আমরাও চেষ্টা করছি একটা কম্বিনেশন গড়ে তুলতে। মিরাজ আপনারা জানেন ভালো অলরাউন্ডার। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ভালো খেলেছে। ভবিষ্যতে আমাদের দলেও ৩-৪ জন অলরাউন্ডার থাকবে। আর যে কোনো দলে এতজন অলরাউন্ডার থাকলে যে কোনো ফরম্যাটেই অধিনায়কের জন্য অনেক বড় সুবিধা।’উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের শেষ তিন ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র ৪ রান। সেখানে ইংল্যান্ডের শেষ দিন ব্যাটসম্যান করেন ৪০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় একই ঘটনা।আরটি/এনইউ/পিআর

Advertisement