দেশজুড়ে

পূর্বাঞ্চল রেলে যাত্রী কমেছে ৪০ শতাংশ

অবরোধের কারণে রেলের পূর্বাঞ্চলে যাত্রী কমেছে ৪০ শতাংশ। ফলে যাত্রী পারাপার বাবদ দৈনিক আয় কমেছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। আর পণ্য পরিবহন বাবদ দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চল ট্রেনে গত এক মাসে ২০ বার নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। আহত হয়েছেন অসংখ্য যাত্রী। এসব ঘটনায় নাশকতার ভয়ে রেলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২০ দলের টানা অবরোধ ও হরতালে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ফিসপ্লেট, স্লিপার, ফিস বোল্ট খুলে নেয়াসহ বগিতে আগুন দেয়ায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হয়েছে। নাশকতা মোকাবেলায় নতুন করে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, আরএনবিসহ বিপুল নিরাপত্তা কর্মী।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানান, নাশকতার কারণে ভেঙে পড়েছে ট্রেনের শিডিউল। এতে করে পূর্বাঞ্চলে রেলে যাত্রী কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে পূর্বে যেখানে যাত্রী পরিবহন বাবদ দৈনিক আয় হতো ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা বর্তমানে তার স্থলে আয় হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক যাত্রী পরিবহন বাবদ ক্ষতি হচ্ছে সাত থেকে ৮ লাখ টাকা। একইভাবে পণ্য পরিবহন বাবদ দৈনিক দেড় লাখ টাকার স্থলে বর্তমানে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। গত সপ্তাহে মিরসরাইয়ে অবরোধকারীদের নাশকতায় দুর্ঘটনার পর যাত্রী সংখ্যা আগের চেয়ে আরও কমেছে।এদিকে, নাশকতায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতের বেলায় ট্রেন চালানো হচ্ছে পাইলটিং পদ্ধতিতে। এর ফলে কমে গেছে ট্রেনের গতি। ভেঙে পড়েছে শিডিউল। ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৬ ঘণ্টায় পৌঁছার কথা থাকলেও বর্তমানে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন মালবাহী ট্রেনসহ ৩২টি ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।এএইচ/এমএস

Advertisement