জাতীয়

অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে : সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে, অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডিএসসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মেয়র পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মেয়র সাঈদ খোকন। তাৎক্ষণিক গুলিস্তান মোড়ে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদে হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আমি ঢাকার মেয়র হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাই, আপনারা কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়ন করুন।  মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকার মেয়র হিসেবে রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ে কোনো গর্ভবতী মাকে মরতে দেখতে চাই না। রাস্তায় গাড়ি চলবে। এজন্য ফুটপাত দখল ও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে।’ মেয়র আবারো অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, আপনারা কোর্টের আদেশ পালন করুন। নইলে আমাদেরও জনগণ রয়েছে। প্রয়োজনে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। এসময় শত শত লোক স্লোগান দিয়ে মেয়র সাঈদ খোকনকে সমর্থন জানায়।’ এর আগে রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডিএসসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মেয়র পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছি পল্টন থানা পুলিশ। এ সময় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নগর ভবন ঘেরাও করেন। পরে নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে প্রতি দোকানে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ সময় মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক বাধা দিলে তাকে ধরে নিয়ে যায় প্রশাসনের লোকজন। পরে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের বোঝাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ ৫/৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা হরতালের ডাক দেন এবং গুলিস্তান এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। তবে ব্যবসায়ীদের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে হরতালবিরোধী লাঠি মিছিল বের করে শ্রমিক লীগ। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। পুলিশ পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা যে কোনো সময় নগর ভবনে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় নগর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।Illegal structures must be demolished: Syed Khokonজেইউ/এসএসএস/এবিএস

Advertisement