সম্প্রতি দেশব্যাপি আলোচিত সিনেমা আয়নাবাজি। মুক্তির চার সপ্তাহেই ভালোই ব্যবসা করে সিনেমাটি। কিন্তু দেশীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে নতুন রেকর্ডের পথে হাঁটছিল তখন হুট করেই পাইরেসিতে আক্রান্ত হলো ‘আয়নাবাজি’। গত রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে মিডিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এটিই; পাইরেট হয়ে গেছে আয়নাবাজি, অনলাইনে মিলছে ছবিটির ডাউনলোড লিংক।আয়নাবাজি পাইরেসির ঘটনায় রবির সিকিউরিটির দুর্বলতা ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। রবি তাদের সার্ভারে আয়নাবাজি আপলোড করেছিল। সেখান থেকেই মূলত লিক হয়ে যায়। এ ঘটনায় রবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না কি-না জানতে চাইলে সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই রবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এ কথা বলেন তিনি।রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আতিকুর রহমান অভি নামে এক যুবককে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এরপরই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।সংবাদ সম্মেলনে আয়নাবাজি সিনেমার লেখক ও প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ভূমিকা পালন করছে তা সত্যিই গর্ব করার মতো ব্যাপার।’তিনি আরো বলেন, ‘আয়নাবাজি ছিলো একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। এটি গত চার সপ্তাহ ধরে হলে হাউজফুল শো হচ্ছে। সর্বশেষ কোন সিনেমাটি এতো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল আমার জানা নেই। কিন্তু এই ছবিটি পাইরেসির শিকার হয়ে একটা বড় রকমের ধাক্কার মুখোমুখি হলো।’শাওন বলেন, ‘রবির সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি ছিলো। চুক্তি অনুযায়ী সিনেমাটি তারা তাদের সার্ভারে আপলোড দেয়। কিন্তু তারা সিকিউরিটি শক্তিশালী বলেই চুক্তি করেছিল। কেউ সিনেমাটি ডাউনলোড দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের সিকিউরিটি ছিলো দুর্বল। সিকিউরিটির দুর্বলতা সুযোগে পাইরেসির শিকার হয়েছে। এক্ষেত্রে রবির সরাসরি সহযোগিতা না থাকলেও দুর্বলতা ছিলো।’রবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে রবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান, কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সিনিয়র এসি নাজমুল ইসলাম।জেইউ/এলএ/এবিএস
Advertisement