ধর্ম

বিচার দিবসে আল্লাহ যাদের সঙ্গে কথা বলবেন না

আল্লাহ তাআলা আহকামুল হাকিমিন। দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। এ রকম অসংখ্য গুণের অধিকারী মহান রাব্বুল আলামিন। তিনি কিয়ামতের ময়দানে তাঁর অবাধ্যতাকারীদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলবেন এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না।তাঁর অবাধ্যতাকারীরা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির মধ্যে জড়িত থাকবে। তাদের কৃতকর্মের কারণে আল্লাহ তাআলার ক্রোধ ও অভিশাপ তাদের ওপর অবিরত বর্ষণ হতে থাকবে। তাদের ওপর থেকে আল্লাহ তাআলার করুণা ও দয়ার দৃষ্টি অপসারিত হবে।হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বর্ণনা করেছেন যে, তিন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, এমনকি তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না। আর এ সকল লোকদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তারা হলো-ক. বৃদ্ধ যেনাকারী (ব্যভিচারী);খ. মিথ্যাবাদী শাসক বা বাদশাহ এবংগ. অহংকারী ভিক্ষুক (দরিদ্র)। (মুসলিম)এর পরে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, তারা সুপথের বিনিময় ভ্রান্ত পথকে গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ এ সব লোক বিশ্বনবির গুণাবলী এবং নবুয়্যতের সত্যতায় বিশ্বাস করতো না। যদি তারা কুরআনের বিধান মেনে চলতো তবে তাদের এ পরিণতি হতো না। তারা আল্লাহ তাআলার নিকট থেকে ক্ষমা লাভ করে নিয়ামতের অধিকারী হতো।পরিশেষে...উল্লেখিত লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা হবেন অত্যন্ত কঠোর যে, তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না। তাদের শাস্তির ধরণ হবে মারাত্মক ভয়াবহ। এ সব লোকদেরকে এমন শাস্তি দেয়া হবে যে, তাদের শাস্তি দেখে দর্শকবৃন্দ হতভম্ব হয়ে যাবে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ব্যভিচার, মিথ্যা এবং অহংকার থেকে হিফাজত করুন। দুনিয়াতে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে হিফাজত করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement