দেশজুড়ে

ইয়াসমীনের জেলায় শিশু ধর্ষণ মেনে নেয়া যায় না

যে জেলায় ইয়াসমীন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। পুলিশের ফাঁসি হয়েছে। যে জেলার মানুষ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা আমাদের বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় দূর্বার আন্দোলন করতে পারি। আমাদের কাছে শিখতে হবে প্রতিবাদের ভাষা। সে জেলায় কোনোভাবেই শিশু ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতন মেনে নেয়া যায়না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার চাই।পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, তারা দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান।জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের ইছাহাক আলী হলুদ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেন শিশুটিকে। তার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান, নরপিচাসরা এতটাই নিষ্ঠুর যে তারা ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়ননি। শিশুটিকে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে হত্যা করতে চেয়েছিল। শিশুটি মারা গেছে কি না এ জন্য তার শরীরে সিগারেটের ছেকা দিয়ে দেখেছে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে তারা পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।জমিরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করার দাবি জানান। তিনি বলেন, শুধু এলাকাবাসী নয় আসামিদের পরিবারের সদস্যরাও তাদের ফাঁসি চািই। প্রশাসন সহযোগিতা করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পুলিশ এই মামলায় তৎপর রয়েছে। আমরা যখন যেভাবে খবর দিচ্ছি তখন সেখানে পুলিশ হাজির হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সারাদেশে আজ শিশু ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আজাদী হাই বলেন, আমরা ইয়াসমীন আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনের কারণে পুলিশের ফাঁসি হয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে আমাদের প্রতিবাদ। এই ঘটনার পর থেকে সারাদেশে ২৪ আগষ্ট নারী নির্যাতন দিবস পালিত হয়ে আসছে। তারপরও আমাদের জেলাতে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না।তিনি বলেন, অপরাধ করেও আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আসলে আমাদের সমাজে কিছু লোক খারাপ হয়ে গেছে। আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।            দিনাজপুর পল্লীশ্রীর সম্বনয়কারী নারী নেত্রী সুরাইয়া আক্তার বলেন, দিনাজপুরে একের পর এক শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি এমন এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, প্রতিবাদ করতে করতে আমরা হয়তো হাপিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অপরাধীরা থামছেনা। আরো কঠোর হয়ে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া বেগবান করতে হবে। দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে। যাতে করে অপরাধীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/এবিএস

Advertisement