দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের অবুঝ শিশুটির সুচিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গাইনি ও অবসট্রেটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি আক্তার লিপিকে প্রধান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বোর্ড গঠন করেছে।গঠিত ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- শিশু সার্জারি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক কাজল, ইউরোলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আমানুর রসুল, নিউরোসার্জারি বিভাগীয় প্রধান জিল্লুর রহমান, শিশু বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাঈদা আনোয়ার, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, মানসিক রোগ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেন ও ওসিসির সমন্বয়নকারী ডা. বিলকিস বেগম।ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান জানান, শিশুটির শারীরিক ও মানসিকসহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের সমন্বয়ে চিকিৎসা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো।গঠিত বোর্ডের সদস্যরা শিশুটির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওসিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, ধারালো অস্ত্রের ঘাতে শিশুটির প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণ (ইনফেকশন) হয়েছে। শিশুটি কিছুটা সুস্থ হলে অস্ত্রোপচার ও পরবর্তীতে মানসিকভাবে সুস্থ করে তুলতে মনোচিকিৎসকদের মাধ্যমে কাউন্সিলিং করতে হবে।পাঁচ বছরের এই শিশুকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, শিশুটির মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া শরীরে কামড়ের দাগ এবং উরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ক্ষত রয়েছে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরদিন ভোরে বাড়ির কাছে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে শিশুটি এখন ঢামেক ওসিসিতে।ওই ঘটনার পর শিশুটির বাবা ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন-সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজ। মামলার পর ২৪ অক্টোবর (সোমবার) রাতে দিনাজপুর শহর থেকে আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এমইউ/আরএস/আরআইপি
Advertisement