খেলাধুলা

চট্টগ্রাম আর ঢাকার উইকেটের নির্মাণশৈলী ভিন্ন

চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মনের মত উইকেট হলে, আমাদেরও সামর্থ্য আছে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের পতন ঘটানোর। বোলারদের কথা মাথায় রেখে উইকেট তৈরি করা হলে আমাদের জন্যই ভালো।টেস্ট শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর প্রশংসা করেই জানালেন, মনের মত উইকেট পেয়েছিলেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে, ঢাকায়ও কী তাহলে টাইগাররা চট্টগ্রামের মত উইকেট পাচ্ছে? ঢাকায় কী মুশফিকরা তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে? সবগুলো প্রশ্নই যৌক্তিকভাবে ছুটে যাচ্ছে শেরেবাংলার কিউরেটর শ্রীলংকান গামিনি সিলভার কাছে।তবে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার উইকেটের বিস্তর পার্থক্য। চাইলেই চট্টগ্রামের মত ঢাকায় উইকেট তৈরি করা সম্ভব নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরেবাংলার উইকেটের সাথে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের গঠন তথা নির্মাণশৈলীর রয়েছে অনেক পার্থক্য। যারা নিয়মিত খেলা দেখেন, তারা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টা। শেরেবাংলার উইকেটের উপরের স্তর হচ্ছে কালো ক্লে (কালো কাদা মাটি) দিয়ে গড়া। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেটের ওপরের আবরণের পুরোটা হচ্ছে বাদামি রঙ্গের ক্লে (বাদামি কাদা মাটি) দিয়ে তৈরি। যে কারনে দুই উইকেটের রঙ্গেই বিস্তর পার্থক্য। শেরেবালার উইকেট একটু কালচে। আর চট্টলার উইকেট বাদামি। এখানেই শেষ নয়, আরও পার্থক্য আছে। টার্নিং উইকেটের জন্য বড় বড় ফাটল বিশেষ দরকার। বড় বড় ফাটল ছাড়া স্পিনিং ট্র্যাক তৈরি অসম্ভব।   যেটা বাদামি ক্লের উইকেটে ভালো হয়। আর কালো ক্লের উইকেটে ছোট ছোট ক্র্যাক বা ফাটল হয়। এই রকম ছোট ছোট ফাটলের পিচে শুরু থেকে স্পিন ধরাতে হলে যত সময় গড়াবে ততই উইকেট ভাঙ্গতে শুরু করবে। তিনদিন পর উইকেট ভেঙ্গে এতটাই ফাটল তৈরির সম্ভাবনা থাকবে যে, একদম সেটা খেলা অনুপযোগী হয়ে পড়বে। কাজেই চট্টগ্রামের মত প্রথম থেকে টার্ন করাতে গেলে শেরেবাংলায় নাকি তিন দিন পর উইকেট আনপ্লেয়েবল হয়ে যেতে পারে। যা হবে আইসিসির গাইডলাইন-এর বাইরে। তখন আবার আইসিসির কঠোর অনুশাসনের মধ্যে পড়তে হবে বিসিবিকে। কাজেই যৌক্তিক কারণে ঢাকায় টার্নিং উইকেট করায় আছে বড় ধরনের ঝুঁকি। সব মিলে ঢাকা টেস্ট নিয়ে কঠিন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি গামিনি সিলভা।দেখা যাক এ লঙ্কান কিভাবে এ অগ্নি রীক্ষায় উত্তীর্ণ হন? তবে গামিনির জন্য একটা রক্ষাকবচ হলো যে, শেরেবাংলার উইকেট চাইলেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মত পুরোপুরি টার্নিং করা সম্ভব নয়। করা গেলেও পাঁচদিন পর্যন্ত তা খেলার উপযোগী থাকবে কি না তা নিয়ে আছে বিরাট সংশয়। এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement