কারচুপির অভিযোগ এনে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০১৫) ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টারদিকে নগরীর আগরপুর রোডের প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্ক্তব্য পাঠ করেন- বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পরাজিত সভপতি প্রার্থী অ্যাড. মুজিবুর রহমান নান্টু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমম্বয় পরিষদের নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে বিএনপি পন্থী কয়েকজন ভোটার আইনজীবীদের বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি দেয় এবং সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রের পাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।ফলে গ্রেফতার আতংকে ভোট দিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ পারেননি ১৫ আইনজীবী।মুজিবুর রহমান নান্টু আরো অভিযোগ করেন, বরিশাল (বানড়ীপাড়া-উজিরপুর) দুই আসনের সদস্য অ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিনভর ভোট কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে বুথে বুথে গিয়ে সাধারণ ভোটাদের প্রভাবিত করেছে। নির্বাচনসহ ভোট গণনাকালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নিয়েজিত এজেন্টদের উপেক্ষিত হয়েছে।এছাড়া ব্যালট পেপার ও ভোট গননায় কারচুপিসহ নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী লীগ- সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমম্বয় পরিষদের প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষনা করে নির্বাচন উপ-পরিষদের আহবায়ক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।এসব কারনে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০১৫) ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করে ভোট পুনরায় গননার দাবী জানান মুজিবুর রহমান নান্টু।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা সমিতির সাবেক অ্যাড. আলী আহম্মদ, অ্যাড. নাজিম উদ্দিন পান্না, অ্যাড. মহসিন মন্টু, অ্যাড. শহীদ হোসেন।উলেখ্য, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে (২০১৫) গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৬টি পদের মধ্যে সম্মিলিত আইনজীবী সমম্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র যুগ্ম-সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী।আরএস/আরআই
Advertisement