মুখোরোচক খাবার আমাদের সবারই পছন্দ। কোথাও কোনো খাবারের সন্ধান পেলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি মেলে না অনেকেরই। তবে এই খাওয়ার মাঝেও আছে কিছু নিয়িম। যা মেনে না চললে আপনার শরীর হয়ে পড়বে অসুস্থ। তাই খাবার যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।দুঃখ-কষ্ট নিয়ন্ত্রণএকটি গবেষণায় এটি পাওয়া গিয়েছে, মানসিক যন্ত্রণায় থাকা অবস্থায় মানুষ খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাদের আশেপাশে যখন তেমন কেউ থাকে না তাদের হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সেই সময়ে তারা নির্ভর হয়ে পরে খাবারের ওপর। তাদের রাগ অভিমান কষ্ট সব কিছুই প্রকাশ পায় এই খাবারের মাধ্যমে। এই খাবারের পরিমাণ কখনো কখনো মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কষ্টের সময় অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেয়ে ফেলেন অনেকে। নিজের উপর এরা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে। তাই ক্ষুধা কমাতে হলে দুঃখ কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।দুশ্চিন্তাচিন্তা একটি স্বাভাবিক কাজ হলেও দুশ্চিন্তা মানুষের নানা ক্ষতি করে থাকে। তার মধ্য খাদ্যাভাস একটি। দুশ্চিন্তা মানুষকে অনেক সময় খাবারের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ কিছু স্বাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে তার মধ্যে মিষ্টি অন্যতম। তাই দুশ্চিন্তার সময় খাবার থেকে দূরে রাখুন নিজেকে। খাবারের প্রতি আকৃষ্টতা বাড়াবেন না।ক্ষুুধা অনুভব করুনঅতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে বসবেন না। এতে খাবারের মাত্রার উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাছাড়া খাবারের একবারে অতিরিক্ত নিয়ে নেবেন না। অল্প করে নিয়ে নিয়ে খেতে থাকুন। পেট ভরে এলে খাওয়া সেখানেই থামিয়ে দিন।ধীরে ধীরে খাওয়াখাবার একবারে খেয়ে নিলে তা পরিমাণে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। আর অল্প অল্প করে খেলে তা অনুমান করা যায়। তাছাড়া আমাদের মস্তিস্কের টক্সিন খাবারের সংকেত পাঠানোর সময় যখন আস্তে আস্তে পাঠায় তখন অল্পতেই পেট ভরে যায়। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাদ্যাভাস থেকে দূরে রাখবে।এইচএন/এমএস
Advertisement