তাকে বলা হয় ঢাকাই ছবির ক্রান্তিলগ্নের ক্যাপ্টেন হিরো। সেই ডিপজল-মান্নার অশ্লীল যুগে যখন ডুবতে বসেছিলো চলচ্চিত্র শিল্পের মান তখন রিয়াজ হাল ধরেছিলেন একাই।তিনিই মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত শ্রেণির দর্শকদের হলে ধরে রেখেছিলেন শাবনূর-পূর্ণিমার সাথে জুটি বেঁধে। উপহার দিয়েছিলেন ‘শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘জামাই শ্বশুড়’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘পাগল তোর জন্য’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ এর মতো ব্যবসা সফল এবং আলোচিত বহু চলচ্চিত্র। আজ প্রিয় এই অভিনেতার জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিনে হার্টথ্রব নায়ক রিয়াজের মন খারাপ। কারণ গত সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ তার মা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে প্রতি মুহূর্তে মাকে মিস করছেন রিয়াজ। আর আজকের জন্মদিনে বেশি করেই তার মায়ের কথা মনে পড়ছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই নায়ক বলেন, ‘মাকে ছাড়া এবারই প্রথমবার আমার জন্মদিন কাটছে। মাকে ছাড়া ভীষণ অসহায় লাগছে। আমার জীবনের হয়তো সবচেয়ে খারাপ জন্মদিন যাচ্ছে এবার। কারণ মাকে ছাড়া আমার জন্মদিন কখনই পালন করা হয়ে ওঠেনি।’ রিয়াজ আরো বলেন, ‘মায়ের কবর জিয়ারত করতে বিকেলের ফ্লাইটে যশোর যাবো। কারণ সেখানেই মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন আমার মা। আল্লাহ যেন আমার মাকে বেহেস্ত নসীব করেন। সবার কাছে আমার এবং আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই।’ এদিকে, রিয়াজের স্ত্রী তিনা এবং তার একমাত্র কন্যা আমিরাও বর্তমানে দেশে নেই। তারা এখন অস্ট্রেলিয়াতে আছেন। আগামী মাসেই দেশে ফিরবেন তারা- বললেন রিয়াজ। রিয়াজের পুরো নাম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। জন্ম ১৯৭২ সালের ২৬ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা সদরের কমলাপুর মহল্লায় একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বেড়ে উঠেছেন ফরিদপুর সিএনবি স্টাফ কুয়ার্টার্সে। বাবা মৃত জাইনুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন ও মাতা আরজুমান আরা বেগম একজন সু-গৃহিণী। রিয়াজের বড় ছয় বোন, জিন্ন্যা আরা, সুলতানা জাহানারা সিদ্দিক, সুলতানা রওনক আরা, সুলতানা রওশন জামিল, সুলতানা সালমা শাহীন ও সুলতানা ফাতেমা শিরিন। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান রিয়াজ আহমেদ ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর ২০০৪-এর বিনোদন বিচিত্রার ফটো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ সুন্দরী হিসেবে নির্বাচিত মডেল মুশফিকা তিনা’র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।নন্দিত চিত্রনায়ক রিয়াজকে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং ৪৫তম বছরে অভিনন্দন। আরো অনেকদিন তিনি বেঁচে থাকুন ঢাকাই ছবির প্রয়োজনে।এনই/পিআর
Advertisement