জাগো উপকূল

বৈশ্বিক-আঞ্চলিক সমন্বয়ে প্রকৃতি বাঁচিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব

টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার উপর গুরুত্বারোপ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমন্বয়। ম্যানগ্রোভ ফর ফিউচার (এমএফএফ)’র ১৩তম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির দুইদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী । তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি পূর্ব থেকেই ম্যানগ্রোভ বন উপকূল রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। এটি রয়েল, বেঙ্গল, টাইগারসহ নানা প্রাণির অভয়ারণ্য। তাই ম্যানগ্রোভ রক্ষার দায়িত্ব সবার। মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজার সাগর তীরের সায়মান বিচ রিসোর্টের মেরিনা বল রুমে এ কর্মশালা শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং এমএফএফ’র বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে এবারের কর্মশালার আয়োজন করেছে। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সামুদ্রিক সম্পদ সুরক্ষায় এমএমএফ’র যে লক্ষ্য রয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভাবনাতেই এগিয়ে চলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের সমস্যা। ম্যানগ্রোভ উপকূল রক্ষায় প্রকৃতির বন্ধু। এটি রক্ষায় সুন্দরবনের প্যারাবনের উপর নির্ভরশীলদের উন্নয়নে এমএমএফ’র নেয়া কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদেরর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী। কর্মশালায় এমএফএফ’র আন্তর্জাতিক সমন্বয় দল প্রধানসহ সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান, সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। চীন আউটরিচ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছে। সরকারি প্রতিনিধিদের পাশাপাশি দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব, এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এনজিও প্রতিনিধিরাও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন। কর্মশালার সহযোগী হিসেবে রয়েছে, ডানিডা, সিডা, নোরাড, রয়েল নরওয়েজিয়ান এম্বেসি ইন থাইল্যান্ড, এমএফএফ’র প্রধান সহযোগী আইইউসিএন এবং ইউএনডিপি।   সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর

Advertisement