সাহিত্য

পথিক বাঙালির একগুচ্ছ কবিতা

হলুদ দীর্ঘশ্বাসশিমুল তুলোর মতো উড়ছে প্রেম-ধরতে গিয়ে মুঠোর ফাঁকে বন্দি হয়েছে বিবর্ণ দুপুর,ছাইরঙা রোদ কুড়িয়ে ঝলসানো ঘাসে ছড়িয়ে দিয়েছি সুখ।তবু প্রেম উড়ে গেছে শালিকের ডানায়,রোদেলা পালক তার রয়ে গেছে হাতে।হরিৎ বনের শেষে আকাশের সামীয়ানা খুলে কোল পেতে বসি-বিরহী বাতাস এসে গান গায় ডাহুকের সুরে,তবু শিমুল তুলো আজো উড়ে যায় রাখে না খোঁজ;তোমার হাতটি ধরতে গিয়েও ফিরে এসেছি রোজ।যেমন বাতাস আসে ঘুম পাড়ানির ছলে-যেমন ঢেউ তোলে কুমারীর জলে।আমি আর আমার হলুদ দীর্ঘশ্বাস শুধু আশ্বাস খোঁজে।****ডুবসাঁতারের পালাএকা একা কাটছি সাঁতার একাকিত্বের সাথে,তোমার অথৈ জলে হাত বাড়ালে হাবুডুবু তাতে।ধরতে গেলে ফিরিয়ে নাও- ফিরে গেলে ঘুরে দাঁড়াও,চোখ টিপ্পনী চাঁদের রাতে একলা আলো জ্বালাও।ডুবতে না দাও- ভাসতে না দাও কেমন ছলাকলা,সাঁতার জানি ভয় তবু পাই- ডুবসাঁতারের পালা।****এবার নবান্নে হবে সবকথা দিয়েছি- এবার নবান্নে হবে সবফিরিয়ে দেব পাখির কলরবডাহুকের ডাক- ঘুঘুর আহ্বানজাগিয়ে দিও ফজরের আজান।ধানের হলুদ রঙ তুলে দেব শাড়িতেহাতের বালায় সোনালি আঁচড়হিজলের তলায় পুরাতন প্রেম যদি জেগে ওঠে?কথা দিয়েছি- এবার নবান্নে বাড়ি যাবোমেটাবো তোমার সব আব্দার;আগামী নবান্নে নতুন অতিথি-ভীত বাঁশঝাড় হবে পরিষ্কার।কথার কথা যেন কথাই না থাকে-তোমার জোরালো দাবি,আমার হাতেই দেখ তোমার নির্ভরতার চাবি।****কিছুকাল দেশান্তরীকিছুকাল দেশান্তরী থাকার পর সবকিছুই নতুন লাগে;সতেজ মনে হয় ঘাসের ডগায় ভোরের শিশির,মনে হয় বসেনি সেখানে দোয়েল কিংবা শালিক।রোয়া ওঠা জমির বুকে নেই কৃষাণের পদচিহ্নতাই মাঝে মাঝে আসি; মাঝে মাঝে যাইপাই নতুনের ছোঁয়া- পাড়ার বুড়িকেও তখন খুকি মনে হয়,বেশ্যার ঘরগুলো ভরে ওঠে নতুন শরীর...এসইউ/এবিএস

Advertisement