রাজনীতি

না পারলে মুখ বন্ধ রাখুন : জয়

সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ বন্ধ রাখতে নাগরিক সমাজকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার বিকেলে ফেইসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। চলমান পরিস্থিতির অবসানে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকে সংলাপের উদ্যোগ নিতে নাগরিক সমাজের আহবানের প্রেক্ষাপটে এ মন্তব্য করেন তিনি।  জয় বলেন, আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৩ সালে আমরা অব্যহত চেষ্টা করেছি বিএনপিকে সংলাপে আনতে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ তাদের যে কোনো মন্ত্রণালয় দিতে রাজি হয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে খালেদা জিয়াকে ফোন দিয়েছিলেন। বিএনপি কি তখনও মানুষ পোড়ানো বন্ধ করেছিল? তারা করেনি। এইবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন যখন তার পুত্র মারা যায়, কিন্তু তাকে ঢুকতেই দেওয়া হল না।যারা সংলাপের কথা বলে তাদের বলছি, তোমরা যদি আসলেই মানুষের কথা ভাব, তাহলে যাও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটগুলো দেখে আস। দেখ, কিভাবে একটা ছোট শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।তারপর প্রথমেই যারা দায়ী তাদের নাম বল এবং নিঃশর্তভাবে দাবি জানাও- খালেদা জিয়া, মানুষ জীবন্ত পুড়িয়ে মারা বন্ধ করুন। এতটুকুই। আর কিছু না। যদি তোমাদের সেটা বলার সাহস না হয়, তবে তোমাদের মুখ বন্ধ রাখ। সংলাপের দাবি করে তোমরা ওই সব সন্ত্রাসীদের আশা দিচ্ছ যে তাদের অপকৌশল কাজে দিতেও পারে। উভয়পক্ষে দোষারোপ করে তোমরা মূলত তাদের দোষটিকে আড়াল করতে চাইছ।তাদের নাম না বলে, তাদের নিঃশর্তভাবে থামার দাবি না করে, তোমরা তাদের নাশকতা চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছ। এইসব করে আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। চলমান ঘটনাকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বলার মাধ্যমে নাশকতার মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাগুলোকে আড়াল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জয়।  এএইচ/পিআর

Advertisement