উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। গতকাল শেষ হওয়া কাউন্সিলে শেখ হাসিনা আবারো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনটি ছিল নানা দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আওয়ামী লীগ এখন সরকার পরিচালনা করছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে দলটির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি পায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশের হাল ধরেছেন। তার নেতৃত্বেই দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে দলকে জয়ী করে আনার ব্যাপারে এখন থেকেই কাজ করতে বলেছেন নেতাকর্মীদের। দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের খুঁজে বের করার কথা বলেছেন। তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তা দেয়া হবে এমন আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনকল্যাণ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মতো তৃণমূল পর্যায়ের দলের জন্য এ কথা আরো সত্যি। কাজেই জনকল্যাণে আরো বেশি কাজ করতে হবে নতুন নেতৃত্বকে। তবেই মানুষের মন জয় করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বনেতৃবৃন্দের মুখেও এখন শেখ হাসিনার প্রশংসা। কিন্তু আমরা এখনো আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। দারিদ্র্য, বেকারত্ব এক বিরাট সমস্যা। দারিদ্র্য কমে এলেও এখনো তা সম্পূর্ণরূপে দূর করা যায়নি।বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৮০ লাখ হতদরিদ্র লোক ছিল। চলতি অর্থবছরে তা ২ কোটিতে নেমে এসেছে। এরা প্রতি মাসে ১ হাজার ২৯৭ টাকাও আয় করতে পারেন না। এছাড়া বেকারত্ব বাড়ছে। বাড়ছে আয় বৈষম্যও। দুর্নীতিও এক প্রধান বাধা। এসব সমস্যা উজিয়ে বাংলাদেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য চাই দূরদর্শী নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগসহ প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই লক্ষ্য হোক জনকল্যাণ। এটি হলে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আমরা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই। এইচআর/এমএস
Advertisement