বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন বেন স্টোকস। তখন সিরিজ সেরার পুরষ্কারটা গিয়েছিল তার হাতেই। ব্যাট-বলের পাশাপাশি মুখটাও চালিয়েছিলেন তিনি। সেই বেন স্টোকসই আবার হতাশা বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে চার উইকেট বাংলাদেশকে অল্প রানে গুটিয়ে দেন তিনিই। এরপর ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলীয় লিডকে বাড়িয়ে নিচ্ছেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার।ইতোমধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন স্টোকস। ১০২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছাক্কায় করেছেন ৬৪ রান। তার দারুণ ব্যাটে ভর করে ইংলিশরা ইতোমধ্যেই করেছে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান। জনি বেয়ারস্ট্রোও যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। ৬৭ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত ৯১ রান যোগ করেছেন তারা।শনিবার বাংলাদেশের চেয়ে ৪৫ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলতে নামা অ্যালিস্টার কুক। অভিষিক্ত মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি (১২ রান)।এরপর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। জো রুটকে (১) এলবিডব্লিউয়ে ফাঁদে ফেলেন এ বাঁ-হাতি। নিজের পরের ওভারেই মুমিনুলের তালুবন্দি করে ডাকেটকে (১৫) সাজঘরে ফেরান সাকিব। ফলে ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে থেকেই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ইংলিশরা।মধ্যাহ্ন বিরতির পর সে চাপ বাড়িয়ে তোলেন তাইজুল। তার বলে ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফিরে যান গ্যারি ব্যালান্স (৯)। এরপর ইংলিশদের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটসম্যান মঈন আলি দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে মঈনের (১৪) গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বল ঝাঁপিয়ে নিজের তালুবন্দি করেন মুশফিক।তবে এর আগে একবার সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান মঈন। সাকিবের বলেই শর্ট লেগে থাকা মুমিনুল হককে ক্যাচ দিলেও বল তার হেলমেটের গ্রিল স্পর্শ করায় সে যাত্রা বেঁচে যান মঈন। প্রথম ইনিংসেও পাঁচ রিভিউতে জিতেছিলেন তিনি।এর আগে দ্বিতীয় দিনের ২২১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। মঈন আলির বলে ডাউন দ্যা উইকেট এসে মারতে গেলে বল মিস করেন সাকিব। আর তাকে সহজেই স্ট্যাম্পিং করেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টো। ৬৮ বলে ৩১ রান করেন এ অলরাউন্ডার।সাকিবের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাইটওয়াচম্যাচ শফিউল। আদিল রশিদের বলে বিগ শট নিতে গিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের হাতে মিডঅনে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি। এরপর অভিষিক্ত মিরাজও বিদায় নেন দ্রুতই। বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ নবীন।এক ওভার পরে ফিরে যান এই টেস্টের বাকি দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটার সাব্বির রহমান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। এ দুই নবীনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ২৪৮ রানে গুটিয়ে দেন বেন স্টোকস। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় সাব্বিরের ৩২ বলে ১৯ রানের ইনিংস। দুই বল পরে শূন্য রানে বোল্ড হন রাব্বি।আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement