যশোরে উৎসবমুখর পরিবেশে ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, সারাদেশের যে পরিস্থিতি তার জন্য মাত্র একজন দায়ী। তিনি সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।খালেদা জিয়া আজকে যে বোতলের মধ্যে থেকে জঙ্গীবাদের জ্বীনকে ছেড়ে দিয়েছেন, টাকা দিয়ে বাসে বোমা মারাচ্ছেন, লঞ্চে আগুন দিচ্ছেন, ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলছেন তার ফল শুভ হবে না। জঙ্গীবাদের জন্য আপনাকেই খেশারত দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আইএস’র মত বিএনপি জামায়াত এখন বাসে পেট্রল বোমা মেরে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। যা সুস্থ কোনো মানুষ মেনে নিতে পারে না।বৃহস্পতিবার যশোর ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, পেট্রল বোমায় পুড়িয়ে মারার কারণে যদি সংলাপ করতে হয়, তাহলে বিএনপিকে এই হত্যার দায় স্বীকার করতে হবে। কিন্তু বিএনপি তো বলছে, তারা নাকি এই পেট্রল বোমা মারেনি। তাহলে তো তাদের সাথে সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না। বিএনপি জামায়াত যদি পেট্রল বোমা না মারে তাহলে যে ‘ভূত’ এই বোমা ছুঁড়ছে তাদের সাথে সংলাপ করতে হবে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুর সভাপতিত্বে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বিএম মোজাম্মেল হক এমপি।বিশেষ বক্তা ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক আবদুল মজিদ, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ও কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক কামরুল হাসান বারী।সম্মেলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান। প্রথম অধিবেশন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।এর আগে ভোর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন, প্লাকার্ডসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে জড়ো হতে শুরু করে। বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে গোটা এলাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। উৎসবমুখর পরিবেশে কর্মীদের মুহুর্মুহু শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়। এরপর বিকেলে শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন।এ অধিবেশন শেষে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।এমএএস/আরআই
Advertisement