খেলাধুলা

ঝলমলে উদ্বোধন, খেলা শুরু শনিবার

বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের একাদশতম আসরের। মাঠের খেলা শুরু হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, তবে তার আগে আজ বৃহস্পতিবার হয়ে গেল ঝলমলে উদ্বোধন। বিশ্বকাপের আলো ঝলমলে উদ্বোধন হলো মেলবোর্নে।ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে শেষ হলো, সেখান থেকেই বুঝি অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আলো ঝলমলে এই অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের একটি করে গানের সঙ্গে উঠে আসে সেই দেশের নাচ আর গানের সংস্কৃতি। বাংলাদেশের নাচিয়েরা নেচেছেন "চলো বাংলাদেশ" শীর্ষক একটি বিজ্ঞাপন সংগীতের সঙ্গে। ভারতীয়রা ভারতের, অস্ট্রেলিয়ানরা অস্ট্রেলিয়ার, ক্যারিবিয়ানরা ক্যারিবিয়ার মতো করে তাদের ঐতিহ্য তুলে ধরেছে। অস্ট্রেলিয়ার আয়োজকদের চ্যালেঞ্জ ছিল এই আয়োজনটা নিখুঁতভাবে তুলে আনার। আর তাতে তারা সফলই বলতে হবে।পরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত খেলোয়াড়রা মঞ্চে আসেন। নিউজিল্যান্ডে যারা ছিলেন তাদের পতাকা আসে মঞ্চে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সগর্ব উপস্থিতি ছিল মঞ্চে। এরপর মঞ্চে আনা হয় জায়ান্ট এক আলোকিত ক্রিকেট মূর্তি যার হাতে ছিল বিশাল ক্রিকেট ব্যাট। তার ব্যাটের আঘাতের সঙ্গে আলো জ্বলে ওঠে। আতশবাজির ছটায় আলোকিত হয় চারদিক।হাবিবের গানে বাংলাদেশের উদ্বোধন :‘চলো বাংলাদেশ, চলো বিশ্ব উঠানে’ গানটি বাজনোর সঙ্গে মেলবোর্নের গ্যালারিতে উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশি সমর্থকরা। মেলবোর্নের অনুষ্ঠানে প্রথমে ছিল আফগানিস্তানের পরিবেশনা। এর পর বাংলাদেশের জন্য ‘চলো বাংলাদেশ, চলো বিশ্ব উঠানে’ গানটি পরিবেশন করা হয়। গানটিতে অংশ নেন অস্ট্রেলীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে বাংলাদেশি দর্শকরা জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেরা নেচে গেয়ে মেতে ওঠেন।গ্রে অ্যাডভারটাইজিংয়ের ক্রিয়েটিভ দলের সদস্য আল আমিন ও মেহেদী আনসারী লেখা এ গানটির সংগীতায়োজনের পাশাপাশি এতে কণ্ঠও দিয়েছেন হাবিব। সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া এ গানটির অন্য শিল্পীরা হলেন শূন্য ব্যান্ডের এমিল ও নেমেসিস ব্যান্ডের জোহাদ। গ্রে অ্যাডভারটাইজিংয়ের সহায়তায় গানটি গ্রামীণফোনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।এএইচ/আরআই

Advertisement