আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে মার্কিন জেনারেল নিহত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাজ্য পরিচালিত সামরিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আফগান সেনার গুলিতে এক মার্কিন জেনারেল নিহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারী ওই আফগান সেনাও গুলিতে নিহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মঙ্গলবার সকালে বা দুপুরের খাবারের সময় কোনো একটি বিষয়ে মতবিরোধের জের ধরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারী ওই আফগান সেনাকে তিন বছর আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।একটি তল্লাশি চৌকিতে জ্যেষ্ঠ আফগান ও সম্মিলিত জোটের সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই আফগান সেনা। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা এম-১৬ বন্দুকের গুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই সেনা গুলি চালায়। এ সময় ওই মার্কিন জেনারেল নিহত ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। এদের মধ্যে দুইজন ব্রিটিশ ও কয়েকজন মার্কিন সেনা রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত হওয়া মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হ্যারল্ড গ্রিন নামের ওই জেনারেল। এমনকি ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর নিহত হওয়া মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা জেনারেল গ্রিন। চলতি বছরের শেষের দিকে আফগানিস্তানে মোতায়েন বিভিন্ন দেশের সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতিতে সম্মিলিত নিরাপত্তা স্থানান্তর কমান্ডের সহকারী কমান্ডিং জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হ্যারল্ড গ্রিন।এই হামলাকে ‘আভ্যন্তরীণ হামলা’ উল্লেখ করে মারাত্মক হুমকি হিসেবে অবিহিত করেছে পেন্টাগন। তবে এই হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে এই হামলার কারণে আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটিতে মোতায়েন জোট সেনাদের বিশ্বাসে ভাঙন ধরবে না বলে জোরালোভাবে জানিয়েছে পেন্টাগন।এই হামলা ন্যাটোর সেনাদের আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তৈরি করছে বলে জানিয়েছে দেশটিতে কর্মরত বিবিসি প্রতিনিধি। আফগান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ধীরে ধীরে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সেনাদের দেশটি থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।চলতি বছরের শেষের দিকে আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনার সংখ্যা কমিয়ে ১০ হাজারের নিচে নামিয়ে আনার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ সকল মার্কিন সেনাকে প্রত্যাহার করার কথা। সূত্র : বিবিসি

Advertisement