অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি দানব নির্মূলে যেকোনো মূল্যে অস্ত্র ও অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে।শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে ভারতের রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী আজাদ। প্রতিনিধি দলে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ছেলে সংসদ সদস্য অভিজিৎ মুখার্জীও ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে তারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ভারতের রাজ্য সভায় বিরোধী দলের নেতা গোলাম নবী আজাদ সন্ত্রাস দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি আপনি সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। এ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করবো। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ।এ সময় গোলাম নবী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মশত বার্ষিকী পালন সংক্রান্ত কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর পাঠানো একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে ইন্দিরা গান্ধীর ওপর একটি লেখা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়।দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বর্ণনা দিয়ে গোলাম নবী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন ইতিহাসের অংশীদার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণের সমর্থন এবং সহযোগিতার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ সময় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, কাজী নাবিল আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।এর আগে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চীনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ও সেদেশের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ঝেং জিয়াওসং।এএসএস/এএম
Advertisement