ফেসবুকের মাধ্যমে ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তি রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র। তার নাম আসাদুজ্জামান নূর সাকিব। তিনি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্মকমিশনার (গোয়েন্দা) মনিরুল ইসলাম।এর আগে উত্তরার দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকা থেকে এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রশ্নপত্রের সেটসহ সাকিবকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি লেনেভো ল্যাপটপ, একটি বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স মডেম ও একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়।মনিরুল ইসলাম বলেন, সাকিব ফেসবুকে রেজাউল ইসলাম লিটন ছদ্মনাম ব্যবহার করে একটি ই-মেইল আইডির মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিকট প্রস্তাব দেয় তার কাছে প্রশ্নপত্র রয়েছে। এরপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে প্রশ্নপত্র চাইলে ইনবক্সের মাধ্যমেই দর কষাকষি হয়। এরপর বিকাশে টাকা পাঠালে সে ইনবক্সের মাধ্যমেই প্রশ্ন পাঠায়।চলমান এসএসসি পরীক্ষার দুইটি পরীক্ষায় তার সরবরাহ করা প্রশ্নপত্র মেলেনি দাবি করে তিনি বলেন, তার সরবরাহ করা প্রশ্নপত্র দুইটি পরীক্ষায় মেলেনি। তবে সে এখন দাবি করছে পরবর্তী পরীক্ষায় প্রশ্ন অবশ্যই মিলবে।সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, সাকিব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রশ্নপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে এবার কোনো সোর্স থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারেনি। প্রশ্ন না পেয়ে সে নিজেই প্রশ্ন তৈরি করে বিক্রি করছিল। এক্ষেত্রে সে বিভিন্ন নামীদামী স্কুল ও কোচিং সেন্টার থেকে সাজেশন সংগ্রহ করে নমুনা প্রশ্ন তৈরি করে। সাকিব প্রতারণা করে কয়েক লাখ টাকা আয় করেছে। তার বিকাশ নম্বরে এখনো ৩৫ হাজার টাকা রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বিকেলে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে আবেদন জানানো হবে। তার সঙ্গে অন্য কোনো সোর্স জড়িত আছে কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।জেইউ/বিএ/আরআইপি
Advertisement