অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর পরই আলোচনায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাতীয় দলে অভিষেকটা হচ্ছে তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডের স্কোয়াডে জায়গা না হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলাটা একটু বিলম্ব হয় মিরাজের। তবে খুব বেশি নয়। এই ইংলিশদের বিপক্ষেই তার অভিষেক হলো, টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই (টেস্টে) পাঁচ উইকেট উইকেট দখলে নিলেন মিরাজ। এর মধ্য দিয়ে সপ্তম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেয়ার অনন্য কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক টেস্টেই পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, মঞ্জুরুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী ও তাইজুল ইসলাম। আর চতুর্থ অফস্পিনার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন মিরাজ। আগের তিনজন অফস্পিনার হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সোহাগ গাজী। এই সাতজন বোলারের মধ্যে একমাত্র পেসার হিসেবে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাকিরা স্পিনার।২০০০ সালে নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় দুর্জয়ের। ওই টেস্টে তিনি ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৬ উইকেট ঝুলিতে জমা করেছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১১ অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ইলিয়াস সানি পকেটে পুরেছিলেন ৬ উইকেট। ২০১০ সালে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সোহাগ গাজী। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট দখলে নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৫৮ তুলেছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে দুজন বোলার উইকেট শিকার করেছেন, সাকিব আল হাসান দুটি আর মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন পাঁচটি। অ্যালিস্টার কুক (৪) ও বেন স্টোকসকে (১৮) সরাসরি বোল্ড করেন সাকিব। আর মিরাজের শিকার হয়েছেন বেন ডাকেট (১৪), জো রুট (৪০), গ্যারি ব্যালেন্স (১), মঈন আলী (৬৮) ও জনি বেয়ারস্টো (৫২)।এআরবি/এনইউ/পিআর
Advertisement