বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃতীয় ও শেষবারের মুখোমুখি বিতর্ক শেষ করলেও দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় লাস ভেগাসের ইউনিভার্সিটি অব নেভাদায় এ বিতর্ক শুরু হয়। দ্বিতীয়বারের মতো এবারও মঞ্চে উঠে করমর্দন ছাড়াই বিতর্ক শুরু করেন হিলারি ও ট্রাম্প। এবারের বিতর্কের সঞ্চালক ফক্স নিউজের ক্রিস ওয়ালেস। তৃতীয় ধাপের এ বিতর্ক ট্রাম্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছিল। নারী কেলেংকারি ফাঁসের পর দলের মধ্যে ভীষণ চাপে রয়েছেন ট্রাম্প। এর আগের দুই বিতর্কের শেষে সিএনএন জরিপে দেখা গেছে জয় পেয়েছেন হিলারি।বিতর্কে নেমে শুরু থেকেই একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন। হিলারি যেমন একদিকে ট্রাম্পকে পুতিনের নাচের পুতুল বলে আখ্যায়িত করেছেন, ট্রাম্পও তেমনি হিলারি ‘জঘন্য মহিলা’ বলেছেন। ৯০ মিনিটের বিতর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইনের পক্ষে নিজের নিজের মত তুলে ধরেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী। হিলারি বলেছেন, তিনি সবার হাত থেকে অস্ত্র (বন্দুক) কেড়ে নিতে চান না তবে এর যুক্তিযুক্ত নিয়ন্ত্রণ চান তিনি। উপস্থাপক এ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিকাগোতে সবচেয়ে কঠিন বন্দুক আইন রয়েছে, তারপরও সেখানে সহিংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। গর্ভপাত আইন বিষয় নিয়েও নিজেদের মত তুলে ধরেন হিলারি-ট্রাম্প। উইকিলকসে ফাঁস হওয়া ইমেইল প্রসঙ্গে হিলার ক্লিনটন বলেছেন, এটা রাশিয়া সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এসেছে, পরিস্কার খোদ পুতিনের কাছ থেকে। এরপর ট্রাম্পকে পুতিনের নাচের পুতুল বলেও আখ্যায়িত করেন হিলারি। এরআগে হিলারিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, আমি যা দেখছি তা হলো এই মানুষটার জন্য পুতিনের কোনো সম্মান নেই। নির্বাচনের আগে শেষ এ বিতর্কে প্রশ্ন আসে প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা ও আইএস নিয়েও। হিলার প্রেসিডেন্ট হলে আইএস থেকে মুক্তি দিতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। আইএসের উত্থানের জন্যও হিলারিকে দায়ী করেন ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩৮ মিনিটে বিতর্ক শেষে করমর্দন না করেই মঞ্চ থেকে নেমে যান হিলারি ও ট্রাম্প।এনএফ/আরআইপি
Advertisement